সর্বশেষ

আইন-আদালত

মোবাইল ফোনে পদ্মা সেতু সারচার্জ বন্ধে হাইকোর্টে রিট

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

বৃহস্পতিবার , ১০ জুলাই, ২০২৫ ১১:৫৭ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
পদ্মা সেতু নির্মাণে অর্থ জোগানের জন্য মোবাইল ফোনে খরচের ওপর আরোপিত ১ শতাংশ সারচার্জ অবিলম্বে বন্ধের দাবিতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছে ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনশাস কনজ্যুমার্স সোসাইটি (সিসিএস)।

বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি মো. হামিদুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে (এনেক্স-২৪) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ কে এম আজাদ হোসেন পিটিশনটি দাখিল করেন। রিটে বাদী হয়েছেন সিসিএস-এর নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ। রিটের শুনানি আগামী সপ্তাহে হতে পারে।

এর আগে গত ৪ জুন মোবাইল সারচার্জ বন্ধে আইনি উদ্যোগের অংশ হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয়, টেলিযোগাযোগ বিভাগ, আইন মন্ত্রণালয়, সেতু কর্তৃপক্ষ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিটিআরসি, গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও টেলিটকসহ সংশ্লিষ্ট ১০টি দপ্তর ও মোবাইল অপারেটরদের আইনি নোটিশ পাঠায় সিসিএস। নোটিশে সাত দিনের মধ্যে সারচার্জ প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

নোটিশে বলা হয়, ২০১৬ সালে সরকার মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের খরচের ওপর ১% হারে ‘উন্নয়ন সারচার্জ’ আরোপ করে, যার লক্ষ্য ছিল পদ্মা সেতু নির্মাণে অর্থায়ন। কিন্তু সেতুটি ২০২২ সালে উদ্বোধন হলেও এখন পর্যন্ত সেই সারচার্জ আদায় চলছে, যা আইন ও ন্যায়ের পরিপন্থী।

সিসিএস আরও জানায়, ইতোমধ্যে মোবাইল ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি আদায় করা হয়েছে। তবে ‘উন্নয়ন সারচার্জ ও লেভি (আরোপ ও আদায়) আইন, ২০১৫’ অনুযায়ী সরকারের প্রজ্ঞাপনে নির্দিষ্ট সময়সীমা উল্লেখ না করেই সারচার্জ আদায় করা হয়েছে— যা আইনের ৪ নম্বর ধারার সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

সিসিএসের দাবি, এই অতিরিক্ত কর আদায় অব্যাহত রাখায় দেশের কোটি ভোক্তার স্বার্থ ক্ষুণ্ন হচ্ছে। তাই তারা বিষয়টি উচ্চ আদালতের সামনে তুলে ধরেছে, যাতে মোবাইল ফোনে সারচার্জ অবসানের মাধ্যমে ভোক্তারা অর্থনৈতিক স্বস্তি পান।

১২৩ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আইন-আদালত নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন