সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

কিম জং উনের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের মামলা করবেন নারী

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার , ১০ জুলাই, ২০২৫ ৯:১৮ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উনের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করতে যাচ্ছেন দেশটির এক নারী নাগরিক, যিনি বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন।

কিম ছাড়াও আরও চারজন উত্তর কোরীয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একই মামলায় অভিযোগ আনা হবে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, চোই মিন-কিয়ুং নামের ওই নারী ১৯৯৭ সালে উত্তর কোরিয়া থেকে পালিয়ে চীনে আশ্রয় নেন। কিন্তু ২০০৮ সালে তাকে জোরপূর্বক উত্তর কোরিয়ায় ফেরত পাঠানো হয়। দেশে ফিরে যাওয়ার পর আটক অবস্থায় তিনি যৌন নির্যাতন ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন বলে অভিযোগ করেছেন।

চোই বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ায় বসবাস করছেন এবং সেখানকার মানবাধিকার সংস্থা ডাটাবেস সেন্টার ফর নর্থ কোরিয়ান হিউম্যান রাইটস (NKDB)-এর সহায়তায় আনুষ্ঠানিক মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিয়েছেন। আগামী শুক্রবার (১১ জুলাই) এই মামলাটি দায়ের করা হবে বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।

নজিরবিহীন পদক্ষেপ
এটি হতে যাচ্ছে উত্তর কোরিয়ায় জন্মগ্রহণকারী কোনো নাগরিকের হাতে তার দেশের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে প্রথম আইনি পদক্ষেপ। অতীতে দক্ষিণ কোরিয়ায় উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মামলায় প্রতীকী রায় এলেও, কিম জং উনের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগের ঘটনা এবারই প্রথম।

NKDB জানিয়েছে, তারা মামলাটি জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতেও তোলার পরিকল্পনা করছে।

 

গত ৯ জুলাই গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে চোই বলেন, এই ছোট পদক্ষেপটি যেন স্বাধীনতা ও মানবিক মর্যাদা পুনরুদ্ধারের ভিত্তিপ্রস্তর হয়ে ওঠে। আমি চাই না, ভবিষ্যতে আর কেউ উত্তর কোরিয়ার মতো শাসনের অধীনে এমন নির্যাতনের শিকার হোক।
চোই আরও জানান, বন্দিত্ব ও নির্যাতনের কারণে তিনি এখনও মানসিক ট্রমায় ভুগছেন এবং চিকিৎসার জন্য ওষুধের ওপর নির্ভরশীল।

 

তার ভাষায়, এই শাসন ব্যবস্থার ভুক্তভোগী ও বেঁচে থাকা একজন মানুষ হিসেবে কিম পরিবারকে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য জবাবদিহি করানো আমার নৈতিক দায়িত্ব।

উত্তর কোরিয়ায় মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক মহল উদ্বিগ্ন। বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা দেশটিতে রাজনৈতিক বন্দিদের উপর বর্বরতা, নারীদের ওপর যৌন নিপীড়ন এবং পদ্ধতিগত বৈষম্যের অভিযোগ এনে আসছে। কিন্তু কিম প্রশাসন সব অভিযোগই অস্বীকার করে আসছে এবং আন্তর্জাতিক তদন্তেও সহযোগিতা করেনি।

১২৫ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন