জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন আইসিইউতে

বৃহস্পতিবার , ১০ জুলাই, ২০২৫ ৭:১২ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী ফরিদা পারভীন রাজধানীর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন।
কিডনি ও শ্বাসযন্ত্রের দীর্ঘমেয়াদি জটিলতায় ভোগা এই শিল্পীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলেও এখনো মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন বলে জানিয়েছেন তার ছেলে ইমাম জাফর নোমানী।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) সকালে জাগো নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নোমানী জানান, “আম্মার শরীরে সংক্রমণের মাত্রা অনেক বেশি। তিনি এখনো আইসিইউতে আছেন। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই হাসপাতালে দেখতে আসছেন, যা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে। চিকিৎসকরা পরামর্শ দিয়েছেন অতিরিক্ত ভিজিটর না আনতে। তাই সবার প্রতি অনুরোধ, আম্মার সুস্থতার জন্য ভিজিট থেকে বিরত থাকুন।”
তিনি আরও জানান, গত বুধবার রাতে ফরিদা পারভীনের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। রাত সাড়ে ১০টা থেকে প্রায় পৌনে ১২টা পর্যন্ত ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওই বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে কিডনি, বক্ষব্যাধি, হৃদরোগ ও আইসিইউ বিশেষজ্ঞ ছাড়াও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মনোনীত দুইজন কিডনি বিশেষজ্ঞ উপস্থিত ছিলেন।
বর্তমানে ফরিদা পারভীনের কোনো ধরনের স্থানান্তর ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে তার ছেলে বলেন, “এই অবস্থায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে বিদেশে নেওয়া সম্ভব নয়। বিদেশে নিলেও উন্নতির নিশ্চয়তা নেই। বরং দেশে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যবস্থা তিনি পাচ্ছেন। তবে হাসপাতাল পরিবর্তনের দরকার হলে মাল্টিডিসিপ্লিনারি কোনো হাসপাতাল যেমন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ বা বিএসএমএমইউ (প্রাক্তন পিজি) বিবেচনায় রয়েছে।”
প্রসঙ্গত, কিডনি জটিলতা ও শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগতে থাকা ফরিদা পারভীন গত ৫ জুলাই ডায়ালাইসিস চলাকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন থেকেই তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন।
একুশে পদকপ্রাপ্ত ফরিদা পারভীন বাংলাদেশের লোকসংগীত জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে সংগীতজীবন শুরু করেন তিনি। নজরুলসংগীতের মাধ্যমে ক্যারিয়ার শুরু করলেও ৭০-এর দশকে দেশাত্মবোধক ও পল্লীগীতির মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।
১৯৮৭ সালে সংগীতে অবদানের জন্য একুশে পদক, ১৯৯৩ সালে সিনেমার গানে অবদানের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং ২০০৮ সালে জাপান সরকারের ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কার লাভ করেন এই গুণী শিল্পী।
১১৯ বার পড়া হয়েছে