মালদ্বীপে কাঙ্ক্ষিত কাজ না পেয়ে হতাশ প্রবাসীরা

বৃহস্পতিবার , ১০ জুলাই, ২০২৫ ৫:৪০ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
নতুন কর্মসংস্থানের আশায় মালদ্বীপে গিয়ে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি প্রত্যাশিত কাজ না পেয়ে চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন।
বিশেষ করে উন্মুক্ত ভিসায় যাওয়া শ্রমিকরা পড়ছেন নানা জটিলতায়। অনেকেই কাজ খুঁজে পাচ্ছেন না, কেউ কেউ আবার বৈধ মালিকানার অভাবে বিপাকে পড়ছেন।
এ প্রেক্ষাপটে মালদ্বীপে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের অভিজ্ঞতা ও বাস্তব পরিস্থিতির ভিত্তিতে একটি সতর্কবার্তা দিয়েছে বাংলাদেশ হাইকমিশন।
এক নির্দেশনায় হাইকমিশন জানিয়েছে, মালদ্বীপে যাওয়ার আগে ভিসার ধরন, কাজের প্রকৃতি, বেতন, থাকা-খাওয়ার সুযোগ-সুবিধা এবং নিয়োগকর্তার স্বাক্ষরিত চুক্তিপত্র যথাযথভাবে যাচাই করে নেয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
হাইকমিশন বলছে, যেকোনো এজেন্সির কথায় প্রলুব্ধ হয়ে না গিয়ে ভালোভাবে খোঁজ-খবর নিয়েই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। কারণ ভুল সিদ্ধান্তের কারণে শুধু ব্যক্তি নয়, প্রবাসী সমাজ ও দুই দেশের সম্পর্কও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন নতুন কর্মীরা
মালদ্বীপে বর্তমানে এক লাখেরও বেশি বাংলাদেশি প্রবাসী রয়েছেন। যাঁরা সাম্প্রতিক সময়ে দেশটিতে পাড়ি জমিয়েছেন, তাঁদের অনেকে এখনও কাজের অপেক্ষায়। দীর্ঘ সময় ধরে কাজ না পেয়ে অনেকেই পরিবারে অর্থ পাঠাতে পারছেন না, ফলে তারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছেন।
প্রবাসীদের অভিযোগ, অনেক সময় এজেন্সির প্রতিশ্রুতির সঙ্গে বাস্তবের কোনো মিল থাকে না। অনেকে পুরনো প্রবাসীদের কাছ থেকে বিভ্রান্তিকর তথ্য পেয়ে সমস্যায় পড়েন।
হাইকমিশনের পরামর্শ ও সতর্কবার্তা
মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মো. সোহেল পারভেজ বলেন, “কারও মুখের কথায় বিশ্বাস করা যাবে না। মালদ্বীপে যে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে আসবেন, সেখানে নির্দিষ্ট সুবিধাগুলো লেখা থাকবে এবং সেগুলোরই বাস্তবায়ন হবে।’’
তিনি আরও বলেন, “যেসব প্রতিষ্ঠান পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে পারে না, সেসব প্রতিষ্ঠানের নামে চুক্তি করে মালদ্বীপে আসা বিপজ্জনক হতে পারে। তাই বাংলাদেশ থেকে যাচাই-বাছাই করে তবেই মালদ্বীপে প্রবেশ করা উচিত।”
হাইকমিশন জানিয়েছে, প্রতারক চক্রের ফাঁদে পড়ে প্রবাসী বাংলাদেশিরা কেবল ব্যক্তিগত ক্ষতির মুখে পড়ছেন না, বরং এই ধরনের ঘটনা দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
১২৯ বার পড়া হয়েছে