ট্রাম্পের নতুন শুল্ক নীতিতে আরও সাত দেশ যুক্ত

বৃহস্পতিবার , ১০ জুলাই, ২০২৫ ৫:২৮ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চলতি সপ্তাহে আরও সাতটি দেশের পণ্যের ওপর নতুন পাল্টা শুল্ক আরোপ করেছেন।
বুধবার (৯ জুলাই) তিনি ফিলিপাইন, ব্রুনেই, মলডোভা, আলজেরিয়া, ইরাক, লিবিয়া ও শ্রীলঙ্কার উদ্দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি পাঠান। এর আগে সোমবার আরও ১৪টি দেশের জন্য একই ধরনের ঘোষণা দেন তিনি। ফলে এক সপ্তাহের ব্যবধানে মোট ২১টি দেশের ওপর নতুন শুল্ক আরোপ করা হলো।
এই ঘোষণাটি ট্রাম্প দেন তার মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’। তিনি জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রাথমিকভাবে আরও কয়েকটি দেশের নাম যুক্ত করার কথা বলা হলেও, শেষ পর্যন্ত সাতটি দেশেই সিদ্ধান্ত সীমাবদ্ধ রাখা হয়েছে।
সিএনবিসি জানিয়েছে, নতুন শুল্ক হার অনুযায়ী:
ফিলিপাইন: ২০% (আগে ১৭%)
ব্রুনেই: ২৫% (আগে ২৪%)
মলডোভা: ২৫% (আগে ৩১%)
আলজেরিয়া: ৩০% (অপরিবর্তিত)
ইরাক: ৩০% (আগে ৩৯%)
লিবিয়া: ৩০% (আগে ৩১%)
শ্রীলঙ্কা: ৩০% (আগে ৪৪%)
নতুনভাবে শুল্ক আরোপ করা ২১টি দেশের পণ্যের ওপর হার নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ থেকে ৪০ শতাংশের মধ্যে। চিঠিতে বলা হয়েছে, এই হার ভবিষ্যতে পরিবর্তিত হতে পারে, যা নির্ভর করবে সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের ওপর।
ট্রাম্পের দাবি অনুযায়ী, এসব শুল্ক হার প্রকৃতপক্ষে প্রয়োজনের তুলনায় কম। তার মতে, বাণিজ্যঘাটতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতারণার শামিল যদিও অর্থনীতিবিদদের বড় অংশ এই দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে একমত নন।
ঘাটতির অঙ্ক তুলনামূলক ছোট হলেও শুল্ক জারি
চিঠি পাওয়া বেশিরভাগ দেশই তুলনামূলকভাবে ছোট অর্থনীতির। যেমন ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মলডোভার বাণিজ্যঘাটতির পরিমাণ ছিল মাত্র ৮ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার। তবুও এই দেশগুলোর পণ্যের ওপরও পাল্টা শুল্ক বসানো হয়েছে।
‘স্বাধীনতা দিবস’ ঘোষণার ধারাবাহিকতা
এই শুল্ক হারগুলো মূলত গত ২ এপ্রিল ঘোষিত ‘স্বাধীনতা দিবসের শুল্ক’-এর ধারাবাহিকতা। তখন বাজারে বড় ধরনের অস্থিরতা দেখা দিলে ট্রাম্প ৯০ দিনের জন্য শুল্ক কার্যকর স্থগিত করেছিলেন। সেই অবকাশকাল ৯ জুলাই শেষ হওয়ার কথা ছিল, তবে সোমবার তিনি তা ১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়ে দেন।
একই দিনে ট্রাম্প আরও এক পোস্টে নিশ্চিত করেন: “১ আগস্টের সময়সীমা অপরিবর্তিত থাকবে। এবার আর কোনো বাড়তি সময় দেওয়া হবে না।”
সোমবার যেসব দেশকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল:
জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, কাজাখস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, লাওস, মিয়ানমার, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, তিউনিসিয়া, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, সার্বিয়া, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ড।
১২৫ বার পড়া হয়েছে