সর্বশেষ

সারাদেশ

ফেনীতে কমেছে বৃষ্টি, বাঁধ ভেঙে শতাধিক গ্রাম প্লাবিত, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন

ফেনী প্রতিনিধি
ফেনী প্রতিনিধি

বৃহস্পতিবার , ১০ জুলাই, ২০২৫ ৫:২০ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর রক্ষাবাঁধের ২১টি স্থানে ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে।

এতে জেলার পরশুরাম, ফুলগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলার শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। দুর্যোগে প্রায় ২০ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছে।

বুধবার (৯ জুলাই) দুপুর থেকে বৃষ্টিপাত কিছুটা কমলেও নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, মুহুরী নদীর ১১টি, কহুয়া নদীর ৬টি এবং সিলোনিয়া নদীর ৪টি স্থানে বাঁধ ভেঙে যায়। ফলে নতুন নতুন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে।

ছাগলনাইয়া উপজেলায় তীব্র স্রোতে বিভিন্ন গ্রামে পানি প্রবেশ করছে। অনেক গ্রামীণ সড়ক পানির নিচে চলে যাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে যান চলাচল। এই অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দাদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আক্তার হোসেন মজুমদার বলেন, বুধবার রাত ১১টার দিকে নদীর পানি বিপৎসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। পানি কমলেও ভাঙন স্থান দিয়ে প্রবল স্রোতে পানি লোকালয়ে ঢুকছে। পানি নেমে গেলে বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু হবে বলে জানান তিনি।

জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, পরশুরাম, ফুলগাজী, ছাগলনাইয়া এবং ফেনী সদর উপজেলার আংশিক অংশে এখন পর্যন্ত ৪৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে ৬ হাজার ৮২৬ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। এরই মধ্যে ৯০ জন স্বেচ্ছাসেবক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় মাঠে কাজ করছে।

ফুলগাজী উপজেলার ঘনিয়ামোড়া এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রকিব জানান, নদীতে পানি কিছুটা কমলেও বাঁধ ভাঙা অংশ দিয়ে তীব্র স্রোতে পানি প্রবেশ করছে। গলা সমান পানিতে চলাচল করে তিনি নিরাপদ আশ্রয়ে গেছেন। বিদ্যুৎ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে, মহামায়া ইউনিয়নের উত্তর সতর গ্রামের শহিদুল আলম বলেন, গত দুই দশকে নদীকূলের সড়কটি সংস্কার না হওয়ায় প্রতিবছরই মুহুরী নদীর পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। এবারও একাধিক গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, ফেনী জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত) ৫৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃহস্পতিবারও হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।

জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম জানান, সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলার ৬টি উপজেলায় ত্রাণ তহবিল হিসেবে সাড়ে ১৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

১২৩ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন