ইরান দুই বছর ধরে প্রতিদিন ইসরাইলে হামলা চালাতে সক্ষম

বুধবার, ৯ জুলাই, ২০২৫ ৫:৪২ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা টানা দুই বছর ধরে প্রতিদিন ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালানোর পূর্ণ সামরিক সক্ষমতা রাখেন।
ইসলামি বিপ্লবী গার্ড এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র অনুযায়ী, ইরানের গোপন ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি, গুদাম ও উৎপাদন কেন্দ্র এতটাই বিস্তৃত ও সুরক্ষিত যে, তাদের অস্ত্রের মজুদ ও উৎপাদন ক্ষমতা এখনো পুরোপুরি প্রকাশ পায়নি। কর্মকর্তারা জানান, ইরানের হাতে কয়েক হাজার ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, হাজারের বেশি যুদ্ধ ও নজরদারি ড্রোন এবং ভূগর্ভস্থ নিরাপদ ঘাঁটি রয়েছে।
সাম্প্রতিক সংঘাতে ইরান প্রায় ৩,০০০ ক্ষেপণাস্ত্র ও ৫০০-৬০০ লঞ্চার দিয়ে হামলা শুরু করেছিল এবং সংঘাত শেষে তাদের হাতে এখনো ১,০০০-১,৫০০ ক্ষেপণাস্ত্র ও ১৫০-২০০ লঞ্চার অবশিষ্ট আছে। ইরান দাবি করছে, দেশীয় প্রযুক্তিতে দ্রুত অস্ত্র উৎপাদন ও পুনরুদ্ধার করার সক্ষমতা তাদের দীর্ঘমেয়াদে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে সহায়তা করবে। কর্মকর্তারা আরও বলেন, ইসরায়েল ও মিত্রদের পাল্টা হামলা সত্ত্বেও ইরানের সামরিক অবকাঠামো অটুট রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও তারা উচ্চমাত্রার হামলা অব্যাহত রাখতে পারবে। ইরান মনে করে, তাদের এই সামরিক শক্তি আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও জোরদার করবে।
ইরানের সামরিক শক্তির মূল ভিত্তি হিসেবে রয়েছে বিপুল ক্ষেপণাস্ত্র মজুদ, উন্নত ড্রোন প্রযুক্তি, গোপন ও সুরক্ষিত ঘাঁটি, দেশীয় উৎপাদন ও পুনরুদ্ধার ক্ষমতা এবং আঞ্চলিক মিত্র ও প্রক্সি গোষ্ঠীর সমর্থন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ভূগর্ভস্থ ও সুরক্ষিত ক্ষেপণাস্ত্র ঘাঁটি গড়ে তোলা হয়েছে, যা শত্রুপক্ষের হামলা থেকেও নিরাপদ। ইরান নিজস্ব প্রযুক্তিতে দ্রুত ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও অন্যান্য অস্ত্র উৎপাদন এবং পুনরুদ্ধার করতে পারে, ফলে দীর্ঘমেয়াদে যুদ্ধ পরিচালনা সম্ভব। হামাস, হিজবুল্লাহ, হুথি—এই মিত্র ও প্রক্সি গোষ্ঠীগুলো ইরানের অস্ত্র ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে আঞ্চলিক যুদ্ধক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা রাখে।
১২৩ বার পড়া হয়েছে