'রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবেই থমকে আছে পাবনা-ঢাকা সরাসরি ট্রেন সার্ভিস'

একইসঙ্গে ঈশ্বরদী বিমানবন্দর পুনরায় চালু, পাবনা শহরে চার লেন সড়ক নির্মাণ ও আরিচা-কাজিরহাট ফেরিঘাট খয়েরচরে স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।

মঙ্গলবার দুপুরে পাবনা প্রেসক্লাবের ভিআইপি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরেন শেকড় পাবনা ফাউন্ডেশনের সভাপতি খান হাবিব মোস্তফা। তিনি অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরেই পাবনা উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। বিশেষ করে পাবনা-ঢাকা সরাসরি ট্রেন সার্ভিস চালু নিয়ে একাধিকবার উদ্যোগ নেওয়া হলেও রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না।

তিনি বলেন, "ঢাকা থেকে পাবনায় আসতে ৪ ঘণ্টার রাস্তা পাড়ি দিতে ১০-১২ ঘণ্টা লেগে যায়। যানজট ও দুর্ভোগের কারণে যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়ছে। অথচ ট্রেন সার্ভিস চালু হলে এই যাত্রা হবে স্বস্তিদায়ক।"

খান হাবিব আরও বলেন, “রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প ও ইপিজেড এলাকায় অনেক বিদেশি বসবাস করেন। তাদের যাতায়াতের জন্য ঈশ্বরদী বিমানবন্দর দ্রুত চালু করা জরুরি। অথচ আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় এটি বন্ধ রয়েছে।”

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ফেরি ব্যবহার করে আরিচা থেকে কাজিরহাটে পৌঁছাতে সময় লাগে প্রায় দুই ঘণ্টা, আবার কাজিরহাট থেকে আরিচা যেতে সময় লাগে প্রায় এক ঘণ্টা ৪০ মিনিট। খয়েরচরে ফেরিঘাট স্থানান্তর করলে এই যাত্রা আধা ঘণ্টায় এবং মাত্র ২০ টাকায় সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।

উত্তরবঙ্গের প্রতি বৈষম্যের অভিযোগ এনে ফাউন্ডেশনের সভাপতি বলেন, “সরকারে উত্তরবঙ্গ থেকে কোনো উপদেষ্টা নেই, পাবনাতে নেই দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন। অথচ আমরা পাবনাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে এই অঞ্চলের উন্নয়ন চাই। সাংবাদিক ভাইদের সহযোগিতায় আমরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করতে প্রস্তুত।”

তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “এই দাবি বাস্তবায়নে বাধা দিলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে। আমাদের আন্দোলনের ফসল বারবার অদৃশ্য কারণে বন্ধ হতে দেওয়া হবে না ইনশাআল্লাহ।”

সংগঠনটি জানায়, চার দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে আগামী ১৩ জুলাই পাবনা প্রেসক্লাবের সামনে শহীদ চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে। এরপর ২৫ থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত চলবে গণসাক্ষর কর্মসূচি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি আখতারুজ্জামান আখতার, সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি এস এম আলাউদ্দিন, শেকড় ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক ড. মোস্তাফিজ খান, পরিচালক তাজুল ইসলাম প্রমুখ।