রংপুরে ট্রাফিক বিভাগে রেকার বাণিজ্যের অভিযোগ: প্রকাশ্য চাঁদাবাজির আখড়া

মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫ ৭:৫২ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
রংপুর জেলা ট্রাফিক বিভাগে রেকারিংয়ের নামে নিয়মিত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
বিভিন্ন ট্রাক, মাইক্রোবাস, লেগুনা ও মিনিবাস থেকে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা অবৈধভাবে আদায় করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র।
স্থানীয় চালকদের অভিযোগ, রেকারিংয়ের ক্ষেত্রে পুলিশের হেডকোয়ার্টার্সের নির্ধারিত নির্দেশনা না মেনে নিজস্ব নিয়মে অর্থ আদায় করে যাচ্ছে জেলা ট্রাফিক বিভাগ। এর নেতৃত্বে রয়েছেন টিআই প্রশাসনের একটি চক্র, যাদের ছত্রছায়ায় কয়েকজন টিএসআই ও এটিএসআই এ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিশেষভাবে নাম উঠে এসেছে টিএসআই তিতাস কুমার, এটিএসআই লোকমান হোসেন এবং সার্জেন্ট আসাদ ও টিএসআই আজাদ এর। অভিযোগ রয়েছে, তাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় প্রতিদিন বিভিন্ন পয়েন্টে চলছে রেকার বাণিজ্য।
সূত্র জানায়, রংপুর শহরের প্রবেশপথ তারাগঞ্জ, বদরগঞ্জ, গড়েরমাথা, পাগলাপীর ও কাউনিয়া ট্রাফিক পয়েন্টে রাতভর চলে এই রেকার কার্যক্রম। প্রতিটি রেকার বিল থেকে ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত অফিস সহকারী (মুনশি) এবং ৫০০ থেকে ১,০০০ টাকা পর্যন্ত টিআই প্রশাসনকে দিতে বাধ্য হন চালকরা।
স্থানীয় চালকদের অভিযোগ, নির্ধারিত অঙ্কের টাকা না দিলে ডিউটি বদলের হুমকি দেওয়া হয়, এমনকি গ্রেফতার বা মামলা দেওয়ার ভয়ও দেখানো হয়।
একজন মাইক্রোবাস চালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “রাত হলেই রেকার চলে আসে, কিছু না কিছু দিতে হয়। না দিলে হয়রানি বন্ধ হয় না।”
এই বিষয়ে রংপুর জেলা ট্রাফিক বিভাগের কোনো কর্মকর্তার তাৎক্ষণিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে অভিযোগগুলো যাচাই ও তদন্তের জন্য স্বচ্ছ প্রক্রিয়া গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতারা।
১২৫ বার পড়া হয়েছে