মুন্সিগঞ্জে যমজ শিশুর লাশ উদ্ধার, হত্যা সন্দেহে মা–বাবা আটক

মঙ্গলবার, ৮ জুলাই, ২০২৫ ৬:৫৮ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় বিলের পানিতে ভেসে থাকা অবস্থায় পাঁচ মাস বয়সী যমজ দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
স্থানীয়দের ধারণা, শিশু দুটিকে ইচ্ছাকৃতভাবে পানিতে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাদের মা–বাবাকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে শ্রীনগরের কুকুটিয়া ইউনিয়নের বিবন্দী গ্রামের একটি বিল থেকে শিশু দুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত দুই শিশুর নাম লামিয়া ও সামিয়া।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বছর দেড়েক আগে বিবন্দী গ্রামের দিনমজুর মো. সোহাগ (৩২) ও পার্শ্ববর্তী মজিদপুর গ্রামের শান্তা আক্তার (১৮) পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন। সম্প্রতি তাদের সংসারে অভাব-অনটন দেখা দেয়, যমজ কন্যা সন্তান জন্মের পর থেকে পারিবারিক কলহ বাড়তে থাকে।
সোমবার সন্ধ্যায় শান্তা প্রতিবেশীদের জানান, তার মেয়েরা হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে গেছে। খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বাড়ির পাশের বিলের পানিতে শিশু দুটিকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। শ্রীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
শিশুদের মৃত্যুকে ঘিরে মা-বাবার মধ্যে পরস্পর দোষারোপ শুরু হয়। সোহাগের স্বজনদের দাবি, ঘটনার সময় সোহাগ বাড়ির বাইরে ছিলেন এবং শিশু দুটিকে শান্তা ঘরে একা সামলাচ্ছিলেন। তাদের অভিযোগ, শান্তাই সন্তানদের পানিতে ফেলে দিয়েছেন। অন্যদিকে শান্তার পরিবারের দাবি, সোহাগই শিশুদের পানিতে ফেলে রেখে বাজারে গিয়েছিলেন।
কুকুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আবদুল কাইয়ুম বলেন, “বিভিন্নজনের কাছ থেকে শোনা যাচ্ছে, শিশুদের পানিতে ফেলার ঘটনায় মা বা বাবা কেউ একজন জড়িত। তবে বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন।”
শিশুদের মা শান্তা ঘটনার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন এবং অনেকটাই বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। পুলিশ দুজনকেই থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাজমুল হুদা জানান, “শিশুদের মৃত্যুর ঘটনায় মা–বাবাকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে আমরা ধারণা করছি, তাদেরই কেউ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। রিমান্ডের আবেদন করে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।”
১২১ বার পড়া হয়েছে