গাজা ও ইয়েমেনে ইসরায়েলের বিমান হামলা, হুথিদের পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ

সোমবার, ৭ জুলাই, ২০২৫ ৭:৪৪ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
গত ২৪ ঘণ্টায় গাজা ও ইয়েমেনে ইসরায়েল ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে। গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় অন্তত ৮০ জন নিহত ও ৩০৪ জন আহত হয়েছেন।
১৮ মার্চ থেকে সংঘাত পুনরায় শুরু হওয়ার পর মোট নিহতের সংখ্যা ৬,৮৬০ এবং আহত ২৪,২২০ ছাড়িয়েছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত মোট ৫৭,৪১৮ জন নিহত ও ১,৩৬,০০০ জনের বেশি আহত হয়েছে, যা অঞ্চলটির ইতিহাসে অন্যতম ভয়াবহ সামরিক অভিযান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
সর্বশেষ হামলা হয়েছে আল-বুরেইজ শরণার্থী শিবির, খান ইউনিসের পশ্চিমের আল-মাওয়াসি এবং গাজা শহরের শেখ রাদওয়ান এলাকায়। শুধু এই তিন এলাকায় ৬১ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হামাসের সামরিক অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। একই সময়ে গাজা থেকে ইসরায়েলি সামরিক যান লক্ষ্য করে অ্যান্টি-ট্যাংক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়, এতে দুই ইসরায়েলি সেনা আহত হন।
ইয়েমেনে রবিবার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত ইসরায়েল হুথি নিয়ন্ত্রিত হোদেইদা, রাস ইসা ও সালিফ বন্দর এবং রাস খাতিব বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে। হুথি বিদ্রোহীদের ব্যবহৃত ‘গ্যালাক্সি লিডার’ নামের একটি জাহাজও লক্ষ্যবস্তু ছিল। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এসব স্থাপনাগুলো থেকে ইরান-সমর্থিত হুথিরা অস্ত্র পরিবহন ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করত। হামলার আগে ইসরায়েল ওইসব এলাকায় বাসিন্দাদের দ্রুত সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়।
হুথি পক্ষ দাবি করেছে, তারা ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে দেশীয় প্রযুক্তির সারফেস-টু-এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। হামলার ফলে হোদেইদা শহরের বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায় এবং পুরো শহর অন্ধকারে ডুবে যায়। পাল্টা হিসেবে হুথিরা ইসরায়েলের দিকে একাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে, যার মধ্যে একটি গত সপ্তাহে জেরুজালেমসহ বিভিন্ন এলাকায় সাইরেন বাজায়, যদিও সেটি সফলভাবে প্রতিহত হয়।
১২৩ বার পড়া হয়েছে