না আছে উড়োজাহাজ না আছে ডলার, আছে আত্মমর্যাদা : ডেবি

রবিবার, ৬ জুলাই, ২০২৫ ৯:২৬ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
আফ্রিকার দেশ চাদ তাদের দেশে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ভিসা দেওয়া সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে।
গত বৃহস্পতিবার দেশটির প্রেসিডেন্ট মাহামাত ইদ্রিস ডেবি ইতনো এ সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন।
এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট ডেবি বলেন, ‘চাদের দেওয়ার মতো না কোনো উড়োজাহাজ আছে, না আছে শতকোটি ডলার দেওয়ার সামর্থ্য; তবে চাদের আছে আত্মমর্যাদা ও গর্ব।’ তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক নিষেধাজ্ঞা একতরফা ও বৈষম্যমূলক।
চাদের এই সিদ্ধান্ত এসেছে ঠিক তার একদিন পর, যখন যুক্তরাষ্ট্র ১২টি দেশের নাগরিকদের ভিসা ও প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বুধবার এক নির্বাহী আদেশে নিষেধাজ্ঞাটি জারি করেন, যা কার্যকর হবে আগামী সোমবার থেকে।
নিষেধাজ্ঞার তালিকাভুক্ত দেশগুলো হলো:
আফগানিস্তান, মিয়ানমার, চাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান এবং ইয়েমেন।
এছাড়া আরও সাতটি দেশের ওপর আংশিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সেগুলো হলো: বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান এবং ভেনেজুয়েলা। তবে এই দেশগুলোর নাগরিকদের নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে ‘সাময়িক কাজের ভিসা’ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
ট্রাম্পের ব্যাখ্যা ও বিতর্ক
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে সাম্প্রতিক এক সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে। কলোরাডোর বোল্ডার শহরে এক ইহুদি র্যালিতে পেট্রলবোমা নিক্ষেপের ঘটনায় ওই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান তিনি।
ট্রাম্প এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘বিদেশি নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ আমাদের দেশের জন্য কতটা বিপজ্জনক হতে পারে, কলোরাডোর হামলাটি তার উদাহরণ।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এই ধরনের বিপদ আর চাই না।’
তবে হামলাকারী মিসরের নাগরিক হলেও নিষেধাজ্ঞার তালিকায় মিসরের নাম নেই। এ নিয়ে সামাজিক ও আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে।
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ তার প্রথম মেয়াদের বিতর্কিত অভিবাসন নীতিরই পুনরাবৃত্তি, যা অনেক ক্ষেত্রেই মুসলিম ও আফ্রিকান দেশগুলোর প্রতি বৈষম্যমূলক বলে বিবেচিত হয়েছে।
১৩৭ বার পড়া হয়েছে