খাগড়াছড়ির পাহাড়ে বিদেশি রাম্বুটানে নতুন সম্ভাবনা

রবিবার, ৬ জুলাই, ২০২৫ ৬:৪৯ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
সবুজ পাহাড়ে ঘেরা খাগড়াছড়িতে বিদেশি ফল রাম্বুটান চাষে দেখা যাচ্ছে নতুন সম্ভাবনার দ্বার। মহালছড়ি উপজেলার বিহারটিলা এলাকায় আড়াই একর পাহাড়ের ঢালু জমিতে রাম্বুটান ফলের সফল বাগান গড়ে তুলেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. আকেইপ্রু চৌধুরী।
শখের বশে ২০২১ সালে শুরু করা বাগানটি এখন পাহাড়ের মানুষের মধ্যে বাণিজ্যিক চাষের অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে।
ডা. আকেইপ্রু জানান, “বাগানে বর্তমানে চার বছর বয়সি ২২০টি গাছ রয়েছে, যার মধ্যে ১৮০টি গাছে ভালো ফলন এসেছে। প্রতিটি গাছে ১৫–২০ কেজি পর্যন্ত ফল আসছে বলে আশা করছি। বর্তমানে কেজি প্রতি ৮০০ টাকায় বিক্রি করছি। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই ফল সংগ্রহ করা যাবে।”
তিনি আরও জানান, শখের এই বাগান এখন বাণিজ্যিক পরিকল্পনায় রূপ নিচ্ছে। এরই মধ্যে গুইমারা উপজেলার জালিয়াপাড়ায় মালয়েশিয়ান ‘স্কুল বয়’ (আনাক সেকুলা) জাতের রাম্বুটানের এক হাজার চারা রোপণ করেছেন, যার বয়স এখন এক বছর।
রাম্বুটান দেখতে অনেকটা লিচুর মতো হলেও এর খোসা নরম এবং লোমশ কাঁটা দিয়ে ঢাকা। এই ফল মিষ্টি ও রসালো, পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ফাইবার, প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট। বর্তমানে পাহাড়ে ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া ও ভারতের উন্নত জাতের রাম্বুটান চাষ হচ্ছে।
মহালছড়ি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সোহরাব হোসেন ভুঁইয়া বলেন, “রাম্বুটান চাষ পাহাড়ি এলাকায় উপযোগী। গাছে ভালো ফলন এসেছে। তবে খেয়াল রাখতে হবে গাছের গোড়ায় যেন পানি জমে না থাকে। এর বাজারমূল্য ভালো এবং ফলটির জনপ্রিয়তাও বাড়ছে, ফলে চাষিরা এতে লাভবান হচ্ছেন।”
খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল মালেক জুয়েল জানান, “পাহাড়ের মাটি ও আবহাওয়া রাম্বুটান চাষের জন্য উপযুক্ত। ফলটির উন্নত জাত উদ্ভাবনের জন্য গবেষণা অব্যাহত রয়েছে।”
বিদেশি এই ফল পাহাড়ে সম্ভাবনার নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
১২৫ বার পড়া হয়েছে