গাজা যুদ্ধবিরতি: ট্রাম্পের চাপ, ইসরায়েলি পার্লামেন্টের বিতর্ক, হামাসের সাড়া

শনিবার, ৫ জুলাই, ২০২৫ ১০:০৭ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইসরায়েল ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির শর্তে সম্মত হয়েছে এবং এই চুক্তি বাস্তবায়নে হামাসের কাছ থেকে দ্রুত ‘ইতিবাচক’ সাড়া আশা করছেন।
ট্রাম্প বলেন, “হামাস এই চুক্তি না মানলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে” এমন হুঁশিয়ারিও দেন তিনি। কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় এই চুক্তির খসড়া তৈরি হয়েছে, এবং আগামী সপ্তাহেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেছেন।
ইসরায়েলের পার্লামেন্টে (কনেসেট) যুদ্ধবিরতি নিয়ে তীব্র বিতর্ক চলছে। ডানপন্থী ও চরম ডানপন্থী দলগুলো স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, হামাসকে ক্ষমতায় রেখে কোনো যুদ্ধবিরতি তারা মানবে না।
প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বুধবার বলেন, “হামাস থাকবে না, ‘হামাস্তান’ ফিরবে না, আমরা সব জিম্মি ফিরিয়ে আনব”—এমন কঠোর অবস্থানও তুলে ধরেন তিনি। তবে সর্বশেষ, ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা শনিবার রাতে পূর্ণাঙ্গ বৈঠকে বসবে এবং যুদ্ধবিরতি নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনা হবে।
হামাস জানিয়েছে, তারা ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ‘ইতিবাচক’ সাড়া দিয়েছে এবং দ্রুত আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।
শুক্রবার হামাস জানায়, তারা মধ্যস্থতাকারীদের কাছে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাঠিয়েছে এবং বাস্তবায়ন নিয়ে আলোচনা শুরু করতে চায়। তবে হামাস স্থায়ী যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা, ইসরায়েলি বাহিনীর প্রত্যাহার এবং গাজায় মানবিক সহায়তার প্রবাহ চায়, এ নিয়ে আরও কিছু আলোচনা বাকি আছে।
চুক্তির মূল কাঠামো অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতি শুরু হলে প্রথম দিনে হামাস আটজন জীবিত জিম্মি মুক্তি দেবে, বিনিময়ে ইসরায়েল কিছু ফিলিস্তিনি বন্দি ছাড়বে এবং ধাপে ধাপে গাজার উত্তর ও দক্ষিণ থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে।
মানবিক সহায়তা প্রবাহও বাড়ানো হবে। পুরো ৬০ দিনের মধ্যে পর্যায়ক্রমে সব জিম্মি মুক্তি ও স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলবে।
এদিকে, গাজায় ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে—শুক্রবার ভোরে বিমান হামলায় অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘ বলছে, গত এক মাসে গাজায় খাদ্য সহায়তা নিতে গিয়ে ৬১৩ জন নিহত হয়েছেন।
১৩১ বার পড়া হয়েছে