গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া হামাসের

শনিবার, ৫ জুলাই, ২০২৫ ১:৫১ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
গাজায় চলমান সংঘাত নিরসনে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস।
শুক্রবার (৪ জুলাই) এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি জানায়, তারা যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে আলোচনায় অংশ নিতে প্রস্তুত।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, হামাস কাতার ও মিশরকে তাদের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে এবং বলেছে, তারা মার্কিন মধ্যস্থতায় দেওয়া সর্বশেষ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে। হামাসের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, “আমাদের প্রতিক্রিয়া ইতিবাচক। এটি একটি চুক্তি অর্জনে সহায়ক হবে বলে আমরা মনে করি।”
হামাসের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধে সর্বশেষ প্রস্তাবটি নিয়ে তারা অভ্যন্তরীণ আলোচনা এবং অন্যান্য ফিলিস্তিনি সংগঠনের সঙ্গে পরামর্শ শেষ করেছে। এ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর প্রতি তারা তাদের সম্মতি জানিয়েছে।
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২ জুলাই গাজা সংকট সমাধানে ৬০ দিনের একটি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তিনি জানান, ইসরায়েল ইতোমধ্যে এই প্রস্তাবের শর্তগুলো মেনে নিয়েছে। এই সময়ের মধ্যে একটি দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের পথ খোঁজার চেষ্টা চলবে।
তবে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার মধ্যেও গাজাজুড়ে ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার গাজা সিটির আল-সাবরা গার্লস স্কুল ও আল-হুররিয়া স্কুলে ড্রোন হামলায় কয়েকজন নিহত হয়েছেন। খান ইউনিস ও জাবালিয়া এলাকায়ও ব্যাপক প্রাণহানি ঘটেছে। রাফায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আন্তর্জাতিক রেড ক্রসের (ICRC) একটি ফিল্ড হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মী।
জাতিসংঘের তথ্য মতে, ইসরায়েল গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ এলাকাকে ‘সামরিক এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। শুধু মার্চ মাসের পর থেকেই গৃহহীন হয়েছেন অন্তত ৭ লাখ ১৪ হাজার মানুষ। দীর্ঘ চার মাস ধরে সেখানে কোনো জ্বালানিও প্রবেশ করেনি, ফলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা একপ্রকার ভেঙে পড়েছে। নাসের হাসপাতাল এখন কার্যত একটি বিশাল ট্রমা ওয়ার্ডে পরিণত হয়েছে।
ত্রাণ বিতরণকেন্দ্রগুলোর আশপাশেও নিরাপত্তাহীনতা বিরাজ করছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার দফতর জানায়, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল সমর্থিত ত্রাণকেন্দ্র ও কনভয়ের আশপাশে নিহতেেরর সংখ্যইতোমধ্যে ৬১৩ ছাড়িয়েছে, যাদের বেশিরভাগই শিশু ও তরুণ।
১২৮ বার পড়া হয়েছে