সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিল রাশিয়া

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

শুক্রবার, ৪ জুলাই, ২০২৫ ৭:২৩ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
আফগানিস্তানে ক্ষমতাসীন তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে রাশিয়া। এ সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে তালেবান প্রশাসনকে স্বীকৃতি দেওয়া বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল মস্কো।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) কাবুলে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সঙ্গে এক বৈঠকে রুশ রাষ্ট্রদূত দিমিত্রি ঝিরনোভ এই স্বীকৃতির বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানান। এ সময় মুত্তাকি একে ‘সাহসী ও যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “রাশিয়ার এই উদ্যোগ অন্য দেশগুলোর জন্য একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।”

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমরা ইসলামিক এমিরেট অব আফগানিস্তান সরকারকে স্বীকৃতি দিচ্ছি, যা আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করবে।” রাশিয়া আফগানিস্তানের জ্বালানি, কৃষি, অবকাঠামোসহ বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং সন্ত্রাসবাদ ও মাদক চোরাচালান প্রতিরোধে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

২০২১ সালের আগস্টে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর থেকেই তারা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে আসছে। এতদিন পর্যন্ত কোনো দেশ আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি। রাশিয়া প্রথমবারের মতো এই উদ্যোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে নতুন মাইলফলক স্থাপন করল।

চলতি বছরের এপ্রিলে রাশিয়ার সুপ্রিম কোর্ট তালেবানকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে তালিকাভুক্তির বিষয়টি প্রত্যাহার করে নেয়। এর আগে ২০২২ সালে রাশিয়া আফগানিস্তানের সঙ্গে জ্বালানি, খাদ্য এবং পণ্য সরবরাহের একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। এমনকি তালেবান ক্ষমতায় আসার পরও রাশিয়া কাবুলে তাদের দূতাবাস চালু রেখেছে, যা অন্যান্য দেশের জন্য ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ ছিল।

এদিকে তালেবান সরকারকে এখনো স্বীকৃতি দেয়নি চীন, পাকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, উজবেকিস্তান এবং ভারত। যদিও এসব দেশ কাবুলে নিজেদের কূটনৈতিক কার্যক্রম বজায় রেখেছে।

মানবাধিকার সংগঠন ও পশ্চিমা দেশগুলো তালেবান সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘন, নারী শিক্ষা নিষেধাজ্ঞা এবং কঠোর শরিয়া আইন প্রয়োগের কড়া সমালোচনা করে আসছে। জাতিসংঘও তালেবানের বিরুদ্ধে একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং আফগান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৯ বিলিয়ন ডলারের সম্পদ জব্দ করে রেখেছে, যা এখনো মুক্ত করা হয়নি।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রাশিয়ার এই সিদ্ধান্ত আফগানিস্তানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করবে এবং অন্য দেশগুলোকেও তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করতে পারে।

১১২ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন