সর্বশেষ

জাতীয়

চাল ও সবজির দাম বাড়তি, কিছুটা স্বস্তিতে মুরগি ও ডিমের বাজার

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

শুক্রবার, ৪ জুলাই, ২০২৫ ৭:১৫ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
কোরবানির ঈদের পর রাজধানীসহ আশপাশের বাজারগুলোতে আবারও চড়া হতে শুরু করেছে চাল ও সবজির দাম।

চালের ক্ষেত্রে প্রতি কেজিতে ২ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত এবং সবজির ক্ষেত্রে প্রতি কেজিতে ২০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। তবে মুরগি ও ডিমের দাম কিছুটা কম থাকায় ভোক্তারা কিছুটা স্বস্তি পেলেও লোকসানে পড়েছেন খামারিরা।

শুক্রবার (৪ জুলাই) রাজধানীর মালিবাগ, শান্তিনগর, রামপুরাসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

খুচরা ব্যবসায়ীদের দাবি, চালকল মালিকরা ঈদের পর থেকেই দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন, যার প্রভাব পড়ছে পাইকারি ও খুচরা বাজারে। আগে যে মিনিকেট চাল পাইকারিতে ৬৮ টাকা কেজি দরে কিনতেন, তা এখন কিনতে হচ্ছে ৭৬ টাকায়।

এখন বাজারে মোটা চাল (বিআর-২৮, পারিজা) বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬৫ টাকা কেজিতে, জিরাশাইল ৭৪ থেকে ৮০ টাকা, মিনিকেট ৭৬ থেকে ৮৪ টাকা এবং কাটারিভোগ ৭০ থেকে ৭৬ টাকা কেজি দরে।

রামপুরা বাজারের বিক্রেতা জুবায়ের আলী জানান, “ঈদের পর থেকে দোকান খুললেই দেখি চালের দাম বেড়ে গেছে। বস্তাপ্রতি ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে। দিনাজপুর, নওগাঁ, কুষ্টিয়াসহ সব মোকামে একই অবস্থা।”

গত দুই সপ্তাহ ধরে সবজির দামও বাড়তির দিকে। বর্তমানে প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৬০ টাকায়, চিচিঙ্গা ৬০, ধন্দুল ৮০, কচুর লতি ৮০, বরবটি ৮০, পেঁপে ৪০, ঢেঁড়স ৮০, পটল ৬০, কাঁকরোল ১০০, টমেটো ১৪০-১৬০, গাজর ১৬০, শসা ৮০ এবং আলু ৩০ টাকায়।

মালিবাগ বাজারের সবজি বিক্রেতা রাজু আহমেদ জানান, “এখন অনেক সবজির মৌসুম শেষ। সরবরাহ কমে গেছে, তাই দাম বাড়ছে। নতুন মৌসুম শুরু না হওয়া পর্যন্ত দাম কিছুটা বেশি থাকবে।”

বাজার করতে আসা চাকরিজীবী সালমান সাকো বলেন, “গত এক–দুই সপ্তাহে বাজারে এসে দেখি সব কিছুর দাম একটু একটু করে বাড়ছে। ঈদের আগেও সবজি সস্তা ছিল, এখন তো প্রতিদিনই বেশি দাম দিতে হচ্ছে।”

ঈদের পর থেকে মুরগির বাজার কিছুটা নিম্নমুখী। বর্তমানে ব্রয়লার মুরগির কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা এবং সোনালি মুরগির কেজি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ডিমের দামও কমেছে। বর্তমানে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায়, যা আগের তুলনায় ২০–২৫ টাকা কম। তবে খুচরা বিক্রেতাদের মতে, এ দামে খামারিরা লোকসানে পড়ছেন। বিক্রেতা বিপুল হোসেন বলেন, “ডজনপ্রতি ১৪০ টাকা দর না পেলে খামারিরা কোনো লাভই করতে পারে না।”


তেল, চিনি, ডাল, আটা, ময়দা, সুজি—এসব নিত্যপণ্যের দামে তেমন হেরফের হয়নি। বরং পেঁয়াজ, আদা, রসুন ও আলুর দাম কিছুটা কম রয়েছে, যা কিছুটা হলেও ভোক্তাদের ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করছে।

১০৫ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন