নেতানিয়াহুকে পশ্চিম তীর দখলে ১৪ মন্ত্রীর চাপ

বৃহস্পতিবার , ৩ জুলাই, ২০২৫ ৫:১৯ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ওপর পশ্চিম তীর দখল ও সংযুক্তিকরণের জন্য চাপ বাড়িয়েছেন তার নিজ দল লিকুদ পার্টির ১৪ জন মন্ত্রী।
বুধবার (২ জুলাই) রাতে নেতানিয়াহুর উদ্দেশে তারা একটি চিঠি পাঠান, যেখানে বলা হয়, গ্রীষ্মকালীন পার্লামেন্ট অধিবেশন শেষ হওয়ার আগেই পশ্চিম তীরকে (ইসরায়েলি পরিভাষায় ‘জুডিয়া ও সামারিয়া’) ইসরায়েলের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে সংযুক্ত করার পদক্ষেপ নিতে হবে।
চিঠিতে মন্ত্রীরা উল্লেখ করেন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কৌশলগত সমর্থন পাওয়া যাচ্ছে, তাই এখনই এই পদক্ষেপের জন্য ‘উপযুক্ত সময়’ বলে তারা মনে করেন। তারা হুঁশিয়ারি দেন, কেবল কিছু বসতি এলাকাকে স্বীকৃতি দিয়ে পশ্চিম তীরে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পথে অগ্রসর হওয়া হলে, তা ইসরায়েলের অস্তিত্বের জন্য ‘চরম হুমকি’ হবে।
চিঠিতে স্বাক্ষরকারী মন্ত্রীদের মধ্যে রয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী, অর্থনীতি, কৃষি, জ্বালানি, যোগাযোগ, পরিবহন, বিচার, পর্যটন, উদ্ভাবন, সংস্কৃতি, প্রবাস, শিক্ষা, সামাজিক সাম্য এবং আঞ্চলিক সহযোগিতামন্ত্রী। এছাড়া ইসরায়েলি পার্লামেন্ট নেসেটের স্পিকারও এতে স্বাক্ষর করেছেন।
ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ সামাজিক মাধ্যমে চিঠিটি প্রকাশ করেন এবং জানান, প্রধানমন্ত্রী সংকেত দিলেই তিনি এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে প্রস্তুত।
ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ও আন্তর্জাতিক মহল এই ধরনের পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে, কারণ এতে দুই-রাষ্ট্রভিত্তিক শান্তি সমাধান সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়বে বলে তাদের আশঙ্কা।
উল্লেখ্য, ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর থেকেই পশ্চিম তীর ইসরায়েলের সামরিক দখলে রয়েছে, তবে এতদিন আনুষ্ঠানিকভাবে অঞ্চলটিকে ইসরায়েলের অংশ ঘোষণা করা হয়নি। কট্টর ডানপন্থি নেতারা বহুদিন ধরেই এই অঞ্চল সংযুক্তির পক্ষে অবস্থান নিয়ে আসছেন।
গাজার মতো পশ্চিম তীরেও ব্যাপক ধ্বংস, বাস্তুচ্যুতি ও মানবিক সংকট চলছে। সামরিক অভিযান, বাড়ি ধ্বংস, জমি দখল ও সহিংসতা—সব মিলিয়ে পশ্চিম তীরও গাজার মতোই বিপর্যয়ের মুখে পড়তে যাচ্ছে।
১৪৫ বার পড়া হয়েছে