ঐতিহাসিক জয়: মিয়ানমারকে তাদের মাঠেই হারাল বাংলাদেশের বাঘিনীরা

বুধবার, ২ জুলাই, ২০২৫ ১১:৪৮ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
নারী ফুটবলে এক অবিশ্বাস্য ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ। ফিফা র্যাংকিংয়ে ৭৩ ধাপ এগিয়ে থাকা শক্তিশালী মিয়ানমারকে তাদেরই মাঠে ২-১ গোলে হারিয়ে এএফসি নারী এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে ওঠার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছে লাল-সবুজরা।
বুধবার ইয়াঙ্গুনে অনুষ্ঠিত ‘সি’ গ্রুপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাংলাদেশ নারী দলের পক্ষে জোড়া গোল করেছেন ঋতুপর্ণা চাকমা। তার অসাধারণ নৈপুণ্যে জয় পেয়েছে পিটার বাটলারের শিষ্যরা।
এর ফলে গ্রুপে শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকে হারাতে পারলেই প্রথমবারের মতো নারী ফুটবলের সবচেয়ে বড় এশিয়ান প্রতিযোগিতা—এএফসি এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেবে বাংলাদেশ।
ঋতুপর্ণার জোড়া গোল, বাংলাদেশের সাহসী লড়াই
ম্যাচের শুরু থেকেই প্রতিপক্ষের চাপে থাকলেও আত্মবিশ্বাস হারায়নি বাংলাদেশের মেয়েরা। ১৮ মিনিটে ফ্রিকিক থেকে ফিরতি বলে ঋতুপর্ণা চাকমার নিখুঁত শটে লিড নেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয়ার্ধের ৭১ মিনিটে বাম দিক দিয়ে ঢুকে বাঁ পায়ে ঋতুপর্ণার কোনাকুনি শটটি মিয়ানমারের জালে জড়ালে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় লাল-সবুজরা।
ম্যাচের ৮৯ মিনিটে উইন উইনের গোলে ব্যবধান কমায় স্বাগতিকরা, তবে শেষ বাঁশি বাজার আগ পর্যন্ত স্কোরলাইন ধরে রাখেন আফঈদা খন্দকাররা।
শক্তির ব্যবধান ভুলিয়ে দিল আত্মবিশ্বাস
ম্যাচের আগে পরিসংখ্যান ছিল পুরোপুরি মিয়ানমারের পক্ষে। ২০১৭ সালে অলিম্পিক বাছাইয়ে একই দলের বিপক্ষে ৫-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। ফিফা র্যাংকিংয়ে দুই দলের ব্যবধানও ছিল বিশাল। কিন্তু মাঠে লড়াইয়ে সেই ব্যবধানকে অগ্রাহ্য করে সাহসিকতা, সংহতি এবং টেকনিক্যাল ফুটবল প্রদর্শন করেই জয় ছিনিয়ে নেয় বাংলাদেশ।
এই জয়ে শুধু গ্রুপে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ নয়, নারী ফুটবলে একটি যুগান্তকারী মাইলফলকের কাছাকাছি পৌঁছে গেল দলটি।
আগামী লক্ষ্য: তুর্কমেনিস্তান
গ্রুপের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ তুর্কমেনিস্তান। অন্যদিকে, মিয়ানমার খেলবে বাহরাইনের বিপক্ষে। যদি বাংলাদেশ আগামী ম্যাচেও জয় পায়, তাহলে নিশ্চিত হবে ইতিহাস—নারী এশিয়ান কাপে প্রথমবারের মতো চূড়ান্ত পর্বে খেলবে বাংলাদেশ।
১৩৭ বার পড়া হয়েছে