মিথ্যা তথ্য প্রতিরোধে জাতিসংঘের কার্যকর ভূমিকা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

বুধবার, ২ জুলাই, ২০২৫ ১১:২০ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
গণমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য ও অপপ্রচার প্রতিরোধে জাতিসংঘকে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, তথ্যের বিকৃতি ও ভুয়া খবর সমাজে বিভ্রান্তি তৈরি করছে, যা প্রতিরোধে একটি শক্তিশালী ও স্বাধীন নীতিমালা প্রয়োজন।
বুধবার রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ইউনেস্কোর হেড অব অফিস সুসান ভিজ এবং ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন অ্যান্ড সেফটি অব জার্নালিস্টস সেকশনের সিনিয়র প্রকল্প কর্মকর্তা মেহেদী বেনচেলাহ তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ মন্তব্য করেন। সাক্ষাতের সময় জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) ও ইউনেস্কোর যৌথ উদ্যোগে প্রস্তুত ‘অ্যান অ্যাসেসমেন্ট অব বাংলাদেশস মিডিয়া ল্যান্ডস্কেপ: ফোকাসিং অন ফ্রি, ইন্ডিপেন্ডেন্ট অ্যান্ড প্লুরালিস্টিক মিডিয়া’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রসঙ্গে আলোচনা হয়।
ড. ইউনূস বলেন, “আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো মিথ্যা তথ্য ও ভুয়া খবর। এসব অপপ্রচারে দেশের বাইরে ও ভেতরে উভয় দিক থেকেই কিছু ব্যক্তি জড়িত। এটা যেন একটি ধারাবাহিক ‘বোমাবাজি’। এ ধরনের প্রচারণা প্রতিরোধে জাতিসংঘের উচিত শুধু সরকারের সঙ্গে নয়, মিডিয়ার সঙ্গেও সরাসরি সংলাপে আসা।”
তিনি আরও বলেন, “যদি কোনো গণমাধ্যম বারবার মিথ্যা তথ্য প্রচার করে, তাহলে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে যেন স্পষ্টভাবে বলা যায়—এটি বিশ্বাসযোগ্য নয়। জাতিসংঘের বক্তব্য জনগণের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
সাক্ষাৎকালে ইউনেস্কোর প্রতিনিধি সুসান ভিজ জানান, বৃহস্পতিবার প্রকাশিতব্য প্রতিবেদনে ‘স্ব-নিয়ন্ত্রণ’ এবং আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী বিভিন্ন সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত থাকবে। তিনি বলেন, “কী কাজ করছে আর কী করছে না, তা নির্ণয় করে প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, বিচার বিভাগ এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে, যাতে তারা আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে নিজেদের আরও সমন্বয় করতে পারেন।”
ইউনেস্কোর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মেহেদী বেনচেলাহ বলেন, প্রতিবেদনে সাংবাদিকদের কাজের পরিবেশ, বিশেষ করে বার্তাকক্ষে নারী সাংবাদিকদের নিরাপত্তার বিষয়টিও গুরুত্ব পেয়েছে। তিনি মনে করেন, এসব বিষয়ে সরকারের গৃহীত উদ্যোগ ব্যাপক ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
প্রসঙ্গত, এ প্রতিবেদনটি ইউএনডিপির ‘স্ট্রেনদেনিং ইনস্টিটিউশনস, পলিসি অ্যান্ড সার্ভিসেস (এসআইপিএস)’ প্রকল্প এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতা বিষয়ে ইউনেস্কোর ম্যান্ডেটের আওতায় তৈরি করা হয়েছে।
১৪০ বার পড়া হয়েছে