সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

ফ্লোরিডার এভারগ্লেডসে কুমির পাহারায় নতুন ডিটেনশন সেন্টার উদ্বোধন, ট্রাম্পের কড়া বার্তা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বুধবার, ২ জুলাই, ২০২৫ ২:৪৫ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
ফ্লোরিডার এভারগ্লেডস অঞ্চলে উদ্বোধন হলো যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে আলোচিত ও বিতর্কিত ডিটেনশন সেন্টার—যেখানে নিরাপত্তার জন্য কাঁটাতারের বেড়া, আধুনিক প্রযুক্তি ছাড়াও প্রাকৃতিক পাহারাদার হিসেবে রয়েছে কুমির, পাইথন ও অন্যান্য বিপজ্জনক বন্যপ্রাণী।

এই কেন্দ্রটি মূলত অবৈধ অভিবাসীদের আটক, প্রক্রিয়াকরণ ও ডিপোর্টেশনের জন্য নির্মিত হয়েছে।

আজ (১ জুলাই ২০২৫) সকালে ডিটেনশন সেন্টারটি পরিদর্শন করেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার সঙ্গে ছিলেন ফ্লোরিডা গভর্নর রন ডিস্যান্টিস, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি ক্রিস্টি নোএমসহ শীর্ষ প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “এখান থেকে বের হওয়ার একমাত্র উপায় ডিপোর্টেশন। এখানে সবচেয়ে বিপজ্জনক ও হিংস্র অভিবাসীদের রাখা হবে। পালানোর চেষ্টা করলে তাদের কুমির ও পাইথনের মুখোমুখি হতে হবে।”

ডিটেনশন সেন্টারটি নির্মাণ করা হয়েছে দক্ষিণ ফ্লোরিডার একটি পুরনো এয়ারস্ট্রিপে, যেখানে প্রায় ৫,০০০ জন অভিবাসী রাখার ব্যবস্থা রয়েছে। স্থায়ী ভবন না থাকলেও, টেন্ট ও ট্রেইলার ব্যবহার করে দ্রুত এবং খরচ-সাশ্রয়ীভাবে কেন্দ্রটি প্রস্তুত করা হয়েছে। চারপাশে ২৮,০০০ ফুট কাঁটাতারের বেড়া, ২০০টির বেশি ক্যামেরা এবং ৪০০ নিরাপত্তা কর্মী নিয়োজিত রয়েছে। তবে সবচেয়ে ব্যতিক্রমী দিক হলো—চারপাশের জলাভূমি ও জঙ্গলে ঘুরে বেড়ানো কুমির ও পাইথন, যা পালানোর চেষ্টা রোধে প্রাকৃতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

ট্রাম্প আরও বলেন, ভবিষ্যতে এমন কেন্দ্র আরও রাজ্যে গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে এবং ফ্লোরিডা ন্যাশনাল গার্ডের সদস্যদের ইমিগ্রেশন জাজ হিসেবে ব্যবহার করার চিন্তাভাবনা চলছে, যাতে দ্রুত ডিপোর্টেশন সম্ভব হয়। তিনি কৌতুক করে বলেন, “কুমির থেকে পালাতে হলে সোজা না দৌড়ে জিগজ্যাগে দৌড়াতে হবে, তাহলে ১% বেশি বাঁচার সম্ভাবনা থাকবে।”

ফ্লোরিডার নতুন কুমির-ঘেরা ডিটেনশন সেন্টারের বিরুদ্ধে নেটিভ (স্থানীয় আদিবাসী) গোষ্ঠীসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও পরিবেশবাদীরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। বিশেষ করে, এই অঞ্চলের আদিবাসী সম্প্রদায় ও পরিবেশকর্মীরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন—কারণ এভারগ্লেডস তাদের ঐতিহ্যবাহী ভূমি এবং এই ধরনের স্থাপনা পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের জন্য হুমকি বলে মনে করছেন।

ফ্লোরিডার “সানশাইন স্টেট” পরিচিতি ও পর্যটন শিল্পের মাঝেও এই ডিটেনশন সেন্টার এখন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

১২৭ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন