বিশ্ববাজারে তেলের দাম পতনের আশঙ্কা, উৎপাদন বাড়ানোর ঘোষণা ওপেক প্লাসের

মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫ ৯:০৩ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম ২০২৫ সালে উল্লেখযোগ্যভাবে কমতে পারে বলে পূর্বাভাস দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা।
জেপি মরগান, বিশ্বব্যাংক ও মার্কিন এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (EIA)–এর তথ্য অনুযায়ী, সরবরাহ বাড়ার পাশাপাশি চাহিদা প্রত্যাশার তুলনায় কম থাকায় বাজারে তেলের দাম নিম্নমুখী হতে পারে।
বিশ্বব্যাংকের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে বৈশ্বিক তেলের সরবরাহ ১.২ মিলিয়ন ব্যারেল/দিন বাড়বে, যা ২০২৪ সালের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। অপরদিকে, চাহিদা বাড়বে মাত্র ০.৭ মিলিয়ন ব্যারেল/দিন, যা আগের বছরের গড় বৃদ্ধির তুলনায় অনেক কম। এর ফলে বাজারে উৎপাদন চাহিদার তুলনায় বেশি থাকবে, যা দামকে নিচের দিকে ঠেলে দেবে।
ওপেক প্লাস (OPEC+) ২০২৫ সালের এপ্রিল থেকে উৎপাদন বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। সৌদি আরব, রাশিয়া, ইরাকসহ আট সদস্য দেশ আগামী ১৮ মাসে ধাপে ধাপে ২.২ মিলিয়ন ব্যারেল/দিন উৎপাদন বাড়াবে। ওপেক প্লাস জানিয়েছে, বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় উৎপাদন বৃদ্ধি হবে ধাপে ধাপে এবং প্রয়োজনে নমনীয়ভাবে সমন্বয় করা হবে।
মার্কিন EIA–এর সর্বশেষ পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৫ সালে WTI তেলের গড় মূল্য $৬১.৮১ ডলার/ব্যারেল এবং ২০২৬ সালে $৫৫.২৪ ডলার/ব্যারেল হতে পারে। ব্রেন্ট ক্রুডের ক্ষেত্রেও দাম কমার প্রবণতা রয়েছে।
তবে, জিওপলিটিক্যাল অস্থিরতা, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বা ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা, বাজারে হঠাৎ দামের উর্ধ্বগতি ঘটাতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, উৎপাদন ও চাহিদার বর্তমান চিত্র অব্যাহত থাকলে ২০২৫ সালে বিশ্ববাজারে তেলের দাম আরও কমতে পারে। তবে, বাজারে হঠাৎ কোনো বড় ধরনের অস্থিরতা দেখা দিলে দাম আবার বাড়তেও পারে।
১২৪ বার পড়া হয়েছে