সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

নৈতিক লঙ্ঘনের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত থাই প্রধানমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫ ৮:০৬ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
ফাঁস হওয়া এক ফোনালাপের জেরে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন শিনাওয়াত্রাকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে দেশটির সাংবিধানিক আদালত।

মঙ্গলবার (১ জুলাই) আদালতের নয় বিচারকের মধ্যে সাতজন তার বরখাস্তের পক্ষে রায় দেন। এর মাধ্যমে তিনি 'নৈতিক লঙ্ঘনের' অভিযোগে পদচ্যুত হলেন।

আদালত তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ১৫ দিনের সময় দিয়েছে।

রায়ের পর সাংবাদিকদের পেতংতার্ন বলেন, “আমি আদালতের রায় মেনে নিয়েছি। আমার লক্ষ্য সব সময় দেশের কল্যাণে কাজ করা।”

এই সিদ্ধান্তে থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা আরও বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

থামাসাত বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি বিশ্লেষক পুরাবিচ ওয়াতানাসুক মনে করেন, চূড়ান্ত রায় না আসা পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী দায়িত্ব পালন করবেন, তবে অনিশ্চয়তা সরকারকে আরও দুর্বল করে তুলতে পারে। সম্ভাব্যভাবে উপপ্রধানমন্ত্রী সুরিয়া জুনগ্রুংরুয়াংকিত এ দায়িত্ব পেতে পারেন, যদিও এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি।

এর আগেও ২০২৩ সালে একই আদালত প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনকে বরখাস্ত করেছিল।

সাম্প্রতিক সময়ের বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে একটি ফাঁস হওয়া ফোনালাপ, যেখানে প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্নকে কম্বোডিয়ার সিনেট প্রেসিডেন্ট হুন সেনের সঙ্গে এক সীমান্ত সংঘর্ষ বিষয়ে কথা বলতে শোনা যায়। ওই সংঘর্ষে এক কম্বোডীয় সেনা নিহত হন।

ফোনালাপে থাইল্যান্ডের এক উচ্চপদস্থ সেনা কর্মকর্তার সমালোচনাও করেন পেতংতার্ন, যা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়ে সাধারণ মানুষ। ব্যাংককে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে তার পদত্যাগের দাবি জানান।

তার বিরুদ্ধে আরেকটি নৈতিক লঙ্ঘনের অভিযোগও তদন্ত করছে দুর্নীতি দমন কমিশন, যা থেকেও অপসারণের সম্ভাবনা রয়েছে।

এই পরিস্থিতির মধ্যেই রাজা মহা বজিরালংকর্ণ সোমবার পেতংতার্নের মন্ত্রিসভায় রদবদল অনুমোদন করেছেন। নতুন মন্ত্রিসভায় পেতংতার্ন সংস্কৃতি মন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার পর তার নতুন মন্ত্রিত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

এদিকে, একইদিনে থাই রাজতন্ত্র-অপমানবিষয়ক এক মামলায় আদালতে হাজির হন পেতংতার্নের পিতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন শিনাওয়াত্রা। ২০১৫ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় এক সাক্ষাৎকারে রাজতন্ত্র নিয়ে মন্তব্য করায় তার বিরুদ্ধে ‘লেসবাজেস্ট’ আইনে মামলা হয়েছে। দোষী সাব্যস্ত হলে তার সর্বোচ্চ ১৫ বছর কারাদণ্ড হতে পারে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক থিতিনান পংসুদিরাক মনে করেন, “এই দুটি ঘটনা একে অপরের সঙ্গে অপ্রতিরোধ্যভাবে যুক্ত। শিনাওয়াত্রা পরিবার এখন গভীর রাজনৈতিক সংকটে পড়েছে।”

১২১ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন