সর্বশেষ

অর্থনীতি

মেট্রোরেল প্রকল্পে ব্যয় কমিয়ে আনা হলো ১৮৬ কোটি টাকা

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

মঙ্গলবার, ১ জুলাই, ২০২৫ ৫:০২ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল সম্প্রসারণের কাজ নিয়ে দীর্ঘদিনের জট কাটতে শুরু করেছে।

রেললাইন, বৈদ্যুতিক ও সংকেতব্যবস্থা স্থাপনসহ অতিরিক্ত কাজের জন্য ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মারুবিনি ও লারসন অ্যান্ড টুবরো বাড়তি অর্থ দাবি করেছিল। তবে সরকারের সঙ্গে কয়েক দফা দর-কষাকষির পর এই ব্যয় ১৮৬ কোটি টাকা কমিয়ে ৪৬৫ কোটিতে নামিয়ে আনা হয়, যা প্রাথমিক প্রস্তাবের তুলনায় প্রায় ২৯ শতাংশ কম।

এই নতুন দর এখন সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। যদিও কাজটি শেষ করতে প্রাথমিকভাবে ২৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।

মতিঝিল-কমলাপুর অংশের দৈর্ঘ্য মাত্র ১.১৬ কিলোমিটার হলেও এই অংশে মেট্রোরেল চালু করতে আরও দেড় বছর সময় লাগবে। পূর্ব পরিকল্পনায় ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে এই রুট চালুর কথা থাকলেও বাস্তবে তা পিছিয়ে যাচ্ছে।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)-এর তথ্য অনুযায়ী, উড়ালপথ ও স্টেশন নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। কিন্তু ট্রেন চালুর জন্য প্রয়োজনীয় রেললাইন, বৈদ্যুতিক সংযোগ, সংকেতব্যবস্থা এবং অন্যান্য যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ এখনো বাকি।

মারুবিনি ও লারসন অ্যান্ড টুবরো এর আগে উত্তরা থেকে মতিঝিল অংশের রেল সংযোগ ও প্রযুক্তিগত কাজ সম্পন্ন করেছিল। সেই অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই তাদের মাধ্যমে বর্ধিত অংশের কাজ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু রাজনৈতিক পরিবর্তনের কারণে চুক্তি চূড়ান্ত করা যায়নি। পরে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দর-কষাকষি শুরু করে এবং অতিরিক্ত ব্যয় না মেনে নতুন দর নিয়ে আলোচনায় যায়।

ডিএমটিসিএলের নতুন এমডি ফারুক আহমেদের নেতৃত্বে দর-কষাকষি করে ব্যয় কমানো সম্ভব হয়েছে। তাঁর আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা বিশেষভাবে কাজে এসেছে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।

কমলাপুর পর্যন্ত সম্প্রসারণের আওতায় রেললাইন, এস্কেলেটর, লিফট, দরজা, সংকেতব্যবস্থা এবং স্বয়ংক্রিয় টিকিটিং যন্ত্রসহ বিদ্যুৎ সরবরাহ অবকাঠামো তৈরি করা হবে। তবে এই অংশের জন্য নতুন কোচের প্রয়োজন নেই, কারণ সেগুলো আগেই আমদানি করা হয়েছে।

কমলাপুর পর্যন্ত সম্প্রসারণের ফলে যাত্রী পরিবহন সক্ষমতা বাড়বে। বর্তমানে মেট্রোরেলে প্রতিদিন চার লাখের বেশি যাত্রী চলাচল করেন, যা কমলাপুর চালুর পর ৬ লাখ ৭৭ হাজারে পৌঁছাবে বলে ধারণা।

মোট ২১.২৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এমআরটি লাইন-৬ এ রয়েছে ১৭টি স্টেশন। পুরো প্রকল্পের প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছিল ২১,৯৮৫ কোটি টাকা, যা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩,৪৭২ কোটিতে। এর মধ্যে জাইকার ঋণ সহায়তা রয়েছে ১৯,৭১৮ কোটি টাকা।

পরিবহন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক সামছুল হক মনে করেন, ঠিকাদারদের প্রাথমিক উচ্চ দরই প্রমাণ করে, তারা অতিরিক্ত অর্থ দাবি করছিল। দক্ষ দর-কষাকষির মাধ্যমে এই ব্যয় কমানো সম্ভব হয়েছে, তবে ভবিষ্যতে সঠিক মানের কাজ আদায় করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি মত দেন।

১১৭ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
অর্থনীতি নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন