সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

গাজা: মানবতার সামনে এক নির্মম প্রশ্ন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫ ৪:০৬ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
গাজা উপত্যকা আজ এক হৃদয়বিদারক মৃত্যুকূপ। এখানে শিশুরা ক্ষুধায় কাঁদে, মায়েরা চোখের জল ফেলে আর কিছুই করতে পারে না।

চারপাশে শুধু ধ্বংসস্তূপ, বাতাসে লাশের গন্ধ—এ যেন সভ্যতার মুখে এক নির্মম চপেটাঘাত। ইসরাইলি হামলার অব্যাহত আগ্রাসনে গাজা রক্তাক্ত, প্রতিদিন বাড়ছে লাশের সারি। হাসপাতালগুলোতে ঠাঁই নেই, ওষুধের অভাবে মানুষ মরছে; কেউ আর কাউকে বাঁচাতে পারছে না।

একটা শিশুর ক্ষুধার্ত মুখ—তাকে দেখে বোঝা যায়, মানবতা আজ কতটা অসহায়। মায়ের বুকের দুধ শুকিয়ে গেছে, শিশুটি কাঁদছে, কেউ তাকে শান্ত করতে পারে না। খাবারের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষগুলোর চোখে শুধু আতঙ্ক আর অনিশ্চয়তা। কখনও গুলি, কখনও বোমা—ত্রাণের আশায় আসা মানুষগুলোও নিরাপদ নয়। মে-জুন ২০২৫-এ ত্রাণ নিতে গিয়ে শত শত মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, আহত হয়েছে আরও অনেক।

গাজার ৯০% ঘরবাড়ি এখন ধ্বংসস্তূপ। অস্থায়ী তাঁবুতে, খোলা আকাশের নিচে, লাখো মানুষ মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। নিরাপদ পানি নেই, খাবার নেই, বিদ্যুৎ নেই—শিশুরা অপুষ্টিতে মরছে, বৃদ্ধরা চোখের সামনে সন্তান হারাচ্ছে। হাসপাতালের বারান্দায় পড়ে আছে শত শত লাশ, ভেতরে জায়গা নেই। ডাক্তাররা কাঁদছেন, তারা জানেন না, কার আগে চিকিৎসা দেবেন, কারে বাঁচাবেন।

এই দৃশ্য দেখে পৃথিবী নির্বাক। বড় বড় সভা, প্রেস কনফারেন্স, বিবৃতি—কিন্তু গাজার মাটিতে কোনো পরিবর্তন নেই। জাতিসংঘ, মানবাধিকার সংস্থা, বড় দেশগুলো শুধু আহ্বান জানায়, কিন্তু গাজায় পৌঁছায় না একফোঁটা শান্তি। গাজার শিশুরা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয়: “আমার অপরাধ কী? কেন আমরা না খেয়ে মরছি?” মায়ের চোখের জলও আজ গাজার উষ্ণতায় শুকিয়ে গেছে।

গাজার এই হৃদয়বিদারক পরিস্থিতি গোটা মানবতাকে চ্যালেঞ্জ করছে। সত্যিই কি পৃথিবীর কিছু করার নেই? সভ্যতার এই চরম দুঃসময়ে গাজার কান্না শুনবে না কেউ?

১৩৩ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন