যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইরানের চিফ অব স্টাফের সতর্কবার্তা

তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, “ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির ওপর আমাদের কোনো আস্থা নেই এবং নতুন আগ্রাসনের জন্য ইরান পুরোপুরি প্রস্তুত।”

১৩ জুন ভোরে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর আকস্মিক হামলার মধ্য দিয়ে শুরু হয় এই যুদ্ধ। ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনা, শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞানীদের লক্ষ্য করে ব্যাপক হামলা চালানো হয়। ইরানও পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে ইসরায়েলের বিভিন্ন সামরিক ঘাঁটি ও শহরে শত শত ড্রোন ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষেই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় এবং বহু হতাহতের ঘটনা ঘটে।

ইরান সতর্ক করে দিয়েছে, যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ হলে আরও শক্তিশালী জবাব আসবে। চিফ অব স্টাফের ভাষায়, “ইসরায়েলের প্রতিশ্রুতিতে আমাদের আস্থা নেই। তারা আবার আগ্রাসন চালালে ইরান প্রতিরোধে প্রস্তুত।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই যুদ্ধের পর ইরান সামরিক সক্ষমতা ও প্রযুক্তিতে নিজেদের শক্ত অবস্থান প্রমাণ করেছে, একই সঙ্গে ইসরায়েলের আকাশ প্রতিরক্ষার দুর্বলতাও প্রকাশ পেয়েছে। তবে ইসরায়েল দাবি করছে, তারা ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক সক্ষমতার বড় অংশ ধ্বংস করতে পেরেছে।

যুদ্ধবিরতির পরও দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। ইরান স্পষ্ট করে দিয়েছে—ইসরায়েল কোনো ধরনের চুক্তি ভঙ্গ করলে, তারা সর্বাত্মক সামরিক প্রতিক্রিয়ার জন্য প্রস্তুত থাকবে।