চাঁদপুরে কমেছে ইলিশের দাম, বাজারে বেড়েছে বিক্রি

সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫ ১০:৫৫ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ ও উত্তরের বাজারগুলোতে ইলিশের দাম কিছুটা কমে এসেছে, আর সেই সঙ্গে বেড়েছে বেচাকেনাও।
এতে ক্রেতা ও বিক্রেতা দুই পক্ষেই দেখা যাচ্ছে স্বস্তির ছাপ।
সোমবার (৩০ জুন) সকালে মতলব পৌর বাজার, নারায়ণপুর, মুন্সিরহাট, বরদিয়া, এনায়েতনগর (সাহেববাজার), আমিরাবাদ ও সুজাতপুর বাজার ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
ব্যবসায়ীদের ভাষ্যমতে, চলতি সপ্তাহে ইলিশের জোগান বাড়ায় বাজারে সব ধরনের ইলিশের দাম ৭–৮ দিন আগের তুলনায় কিছুটা কমেছে। বিশেষ করে মাঝারি আকারের ইলিশের সরবরাহ বেশি দেখা গেছে।
মতলব পৌর বাজারের বিক্রেতা বিমল চন্দ্র দাস ও আমিরাবাদ বাজারের প্রাণকৃষ্ণ দাস জানান, প্রতিদিন গড়ে ৫ থেকে সাড়ে ৫ মণ ইলিশ বাজারে আসছে, যার মধ্যে সাড়ে ৩ থেকে ৪ মণ পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। এ সংখ্যা গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। এতে বেচাবিক্রার গতি ফিরে এসেছে বলে মনে করছেন তাঁরা।
দামের হালচাল:
১ কেজি ওজনের ইলিশ: কেজিপ্রতি ২,২৫০–২,৩০০ টাকা (গত সপ্তাহে ছিল ২,৫০০–২,৬০০ টাকা)
৭০০–৮০০ গ্রাম ওজনের: কেজিপ্রতি ১,৮০০–১,৯০০ টাকা (আগে ছিল ২,০০০–২,১০০ টাকা)
৫০০ গ্রাম ওজনের: কেজিপ্রতি ১,৫০০ টাকা (পূর্বে ছিল ১,৬০০–১,৭০০ টাকা)
তবে দাম এখনো স্থিতিশীল নয়, প্রতিদিন কিছুটা ওঠানামা করছে বলে জানান বিক্রেতারা।
মতলব উত্তরের ফতেপুর এলাকার বাসিন্দা ইলিয়াস সরকার বলেন, ‘‘দাম কিছুটা কমেছে শুনে আজ বাজারে এলাম। তিন হাজার টাকায় ৫০০ গ্রাম ওজনের দুটি ইলিশ কিনেছি। এত দিন ইলিশ কেনার সাহস পাইনি, আজ একটু স্বস্তি পাচ্ছি।’’
তবে নিম্ন আয়ের মানুষজনের জন্য ইলিশ এখনো নাগালের বাইরে রয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।
প্রশাসনের বক্তব্য:
মতলব উত্তর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিজয় কুমার দাস আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘‘মেঘনায় আরও বেশি ইলিশ ধরা পড়লে বাজারে জোগান বাড়বে, আর দামও কমবে।’’
এদিকে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রশাসন বাজারে নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন মতলব উত্তরের ইউএনও মাহমুদা কুলসুম মনি ও মতলব দক্ষিণের ইউএনও আমজাদ হোসেন। তাঁদের ভাষায়, এখনো ইলিশের নির্ধারিত মূল্য নির্ধারণ করা না হলেও বাজার পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে।
১১৭ বার পড়া হয়েছে