সর্বশেষ

সারাদেশ

ফরিদপুরে স্বাস্থ্য সহকারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে প্রার্থীদের প্রতিবাদ

ফরিদপুর প্রতিনিধি
ফরিদপুর প্রতিনিধি

সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫ ৯:৫৪ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
ফরিদপুরে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে স্বাস্থ্য সহকারী পদে নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ তুলে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন নিয়োগপ্রত্যাশী কয়েকজন প্রার্থী।

সোমবার (৩০ জুন) বেলা ১১টার দিকে সিভিল সার্জন কার্যালয় চত্বরে অবস্থান নেন অন্তত সাতজন ভুক্তভোগী প্রার্থী। তাদের দাবি, নিয়োগ পরীক্ষায় বৈধভাবে অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েও তারা পদ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এ সময় তারা তদন্ত সাপেক্ষে পুনঃনিয়োগের দাবিতে স্লোগান দেন।

ভুক্তভোগীদের মধ্যে রয়েছেন মোহাম্মদ রাজিব হোসেন (৩১), রায়হানুল ইসলাম, সোহেল রানা, শিল্পী খাতুন (২৮), লাবনী আক্তার, শফিকুল ইসলাম ও নূরে জান্নাত সারা। এদের বেশিরভাগই লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় ভালো ফল করেও চূড়ান্ত তালিকায় স্থান পাননি বলে দাবি করেন।

মোহাম্মদ রাজিব হোসেন অভিযোগ করেন, চূড়ান্তভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়া সত্ত্বেও সিভিল সার্জনের দপ্তর থেকে তাকে যোগদান করতে বাধা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, "১ জুন যোগদানের জন্য গেলে আমাকে কোনো কারণ না দেখিয়েই বের করে দেওয়া হয়। এরপর বারবার আবেদন করলেও কোনো সাড়া মেলেনি।"

অন্যদিকে, প্রার্থী নূরে জান্নাত সারা অভিযোগ করেন, তার নিজ ওয়ার্ড থেকে সর্বোচ্চ নম্বর অর্জনের পরও তাকে বাদ দিয়ে পৌরসভার এক বাসিন্দাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, "যখন নিয়োগবিধিতে স্পষ্টভাবে বলা আছে, এক ওয়ার্ডের পদে অন্য ওয়ার্ডের প্রার্থীকে নেওয়া যাবে না, তখন এমনটা কীভাবে সম্ভব?"

শফিকুল ইসলামও একই অভিযোগ তুলে বলেন, “আমার ওয়ার্ড থেকে কাউকে নিয়োগই দেওয়া হয়নি, অথচ আমি লিখিত ও মৌখিক উভয় পরীক্ষাতেই ভালো করেছিলাম। এটি স্পষ্ট অনিয়ম।”

প্রার্থীদের দাবি, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত না হলে তারা আরও কঠোর আন্দোলনের ডাক দেবেন। তারা হয় পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ বা তাদের যোগদানের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানান।

২০২৩ সালের ২৫ মার্চ ফরিদপুর জেলা সিভিল সার্জনের দপ্তর থেকে ৯টি পদে মোট ১২৯ জন নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়, যার মধ্যে ১০৪টি পদ ছিল স্বাস্থ্য সহকারীর জন্য। লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২৩ মে এবং মৌখিক পরীক্ষা ২৬ মে। চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হয় ২৯ মে। ফল প্রকাশের পর থেকেই নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে।

বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে গেলে সিভিল সার্জন ডা. মাহমুদুল হাসানকে কার্যালয়ে পাওয়া যায়নি। তবে ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. শাহ্ মোহাম্মদ বদরুদ্দোজা বলেন, “কয়েকটি ওয়ার্ডের নিয়োগ প্রক্রিয়া আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

১১৭ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন