আবু সাঈদ হত্যা মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল

সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫ ৫:৩০ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আনুষ্ঠানিক চার্জ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করা হয়েছে।
সোমবার (৩০ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার দপ্তরে এই অভিযোগপত্র দাখিল করেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। তিনি জানান, মামলাটি ট্রাইব্যুনাল-২–এ জমা দেওয়া হয়েছে এবং এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
শুনানিতে সভাপতিত্ব করবেন বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-২ প্যানেল। অপর সদস্যরা হলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।
এর আগে, ২৪ জুন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন চিফ প্রসিকিউটরের দপ্তরে জমা দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। ৩০ জনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে সম্পৃক্ততার অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে রয়েছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, পুলিশের সাবেক এএসআই আমির হোসেন, সাবেক কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় এবং ছাত্রলীগের নিষিদ্ধ ঘোষিত এক নেতাও।
প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম জানান, আবু সাঈদ ছিলেন জুলাই মাসের গণআন্দোলনের প্রথম শহীদ। ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই দুপুর ২টা ১৭ মিনিটে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। নিরস্ত্র আবু সাঈদের বুক চিতিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার দৃশ্য এবং হত্যার ভিডিও ভাইরাল হলে দেশজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
তিনি আরও জানান, সাঈদ কাউকে আক্রমণ করেননি, বরং তাকে উদ্দেশ্য করে গুলি চালানো হয়েছিল। আবু সাঈদ ছিলেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র।
এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে দেশজুড়ে ছাত্র ও নাগরিক সমাজের প্রতিক্রিয়া আরও তীব্র হয়ে ওঠে, যা পরবর্তীতে রাজনৈতিক অস্থিরতার রূপ নেয়। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় গত ৫ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগে বাধ্য হন।
১১৮ বার পড়া হয়েছে