সর্বশেষ

খেলা

পিএসজির মুখে মেসির ‘প্রতিশোধের গল্প’

স্পোর্টস রিপোর্টার
স্পোর্টস রিপোর্টার

রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫ ১০:১৩ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
বিশ্বাসের বাইরে মনে হলেও, বাস্তবতা বলছে অন্য কথা ইন্টার মায়ামি বনাম প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) এর মধ্যকার ক্লাব বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় দেখা যাবে এক অপ্রত্যাশিত লড়াই।

আর এই ম্যাচে ঘটতে যাচ্ছে এক ঐতিহাসিক পুনর্মিলন লিওনেল মেসি বনাম তার প্রাক্তন ক্লাব পিএসজি।

আশা, আবেগ, প্রতিশোধ এই সকল অনুভূতির মিশেলে ভরা এই ম্যাচে মায়ামির আকাশে জ্বলে উঠবে উত্তেজনার আলো। বাংলাদেশ সময় রোববার রাত ১০টায় আটলান্টার মার্সিডিজ-বেঞ্জ স্টেডিয়ামে প্রতিপক্ষ দুই দলের মধ্যে লড়াই হবে একদিক ইউরোপের চ্যাম্পিয়ন, অন্যদিকে মেসির নেতৃত্বে এগিয়ে চলা এক স্বপ্নের দৌড়।

মেসির জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ, পুরোনো গ্লানি
মেসির জন্য এই ম্যাচ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বার্সেলোনা ছাড়ার পর পিএসজিতে দুই মৌসুম অতিবাহিত হলেও, তার হৃদয় সেই ক্লাবের জন্য কখনো সহজে ভোলেনি। সৌদি আরব সফরে নিষেধাজ্ঞা, বিশ্বকাপ জেতার পরও ক্লাবের কাছ থেকে স্বীকৃতি না পাওয়া, সমর্থকদের বিদ্রুপ এবং তার উপর, পিএসজির সঙ্গে সম্পর্কের দূরত্ব। মেসি একবার বলেছিলেন, ‘আমি একমাত্র খেলোয়াড়, যাকে বিশ্বকাপ জয়ের পর ক্লাব স্বীকৃতি দেয়নি।’

এখন, সেই পুরোনো ক্লাবের মুখোমুখি তিনি একজন প্রতিপক্ষ হিসেবে খেলবেন এবং তার প্রথমবারের মতো লড়বেন তার প্রাক্তন কোচ লুইস এনরিকের সঙ্গে।

আবেগের মাঝে লুকানো প্রতিশোধের আগুন
ইন্টার মায়ামির কোচ, এবং নিজেও মেসির সাবেক সতীর্থ হ্যাভিয়ের মাশ্চেরানো জানেন, এই ম্যাচে আবেগ কাজ করবে ঠিকই, কিন্তু তার চাই মেসির রাগ, ক্ষোভ, এবং লক্ষ্য পূরণের জন্য খিদে। কারণ, যখন মেসি রেগে যায়, তখন তার ভয়ঙ্কর রূপ ফুটে ওঠে। এই ম্যাচে তার মনোভাব যেন আগুনে ঝলসে যায়।

প্রিয় সতীর্থরা থাকবেন পাশে
মেসির সঙ্গে মাঠে থাকবেন তার প্রিয় বন্ধুরা সুয়ারেজ, জর্দি আলবা, বুসকেটস। বিপরীতে থাকবেন কভিচা কভারাতসখেলিয়া, ওসমান দেম্বেলে, এবং লুইস এনরিকের কৌশল। তরুণ তুর্কি বেনজামিন ক্রেমাসচি ও নোয়া অ্যালেন এই প্রথম বড় প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হবে। এই তরুণ-প্রবীণ দলের আত্মবিশ্বাস স্পষ্ট।

ফুটবলের সৌন্দর্য, অসম্ভবের সম্ভাবনা
ইন্টার মায়ামির জন্য এটা এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় লড়াই। ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে পোর্তো, আল আহলি, এবং পালমেইরাসের বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর তারা রাউন্ড অফ ১৬-এ উঠেছে। তবে পিএসজির মতো দলের সঙ্গে লড়াই সত্যিই আলাদা স্তরের।

মাশ্চেরানোর কথায়, “ফুটবল সবসময় শক্তির খেলা নয়। এখানে দুর্বল দলও লড়াই করতে পারে। আর আমরা সেটাই করব।”

এই ম্যাচ কেবল একটি ক্লাবের জন্য নয়, বরং মেসির ব্যক্তিগত কাহিনী, বার্সেলোনা-পিএসজির ইতিহাস, এবং নতুন এক অধ্যায়ের সূচনাও বয়ে আনবে। রোববার রাতের সেই ৯০ মিনিট হয়তো মেসির জীবনে নতুন এক প্রতিশোধের গল্প লেখবে।

মায়ামির স্বপ্নের মাঠ বনাম প্যারিসের বাস্তবতা
সবশেষে, এই লড়াই শুধু সময়ের ব্যাপার ৯০ মিনিটের নাটক। যেখানে পিএসজির গৌরব আর মেসির প্রতিশোধের গল্প মিলেমিশে এক নতুন ইতিহাস লিখবে।

১১৯ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
খেলা নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন