বেরোবি শিক্ষকের নিয়োগে জালিয়াতির অভিযোগ

রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫ ৮:২২ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধানের বিরুদ্ধে নিয়োগ জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে।
দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে তিনি ‘ভুয়া সুপারিশপত্রের’ ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত রয়েছেন বলে অভিযোগ।
এ ঘটনায় হাইকোর্টের নির্দেশনা ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চিঠির প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন অর রশিদ।
তিনি জানান, শনিবার (২৮ জুন) অনুষ্ঠিত ১১৩তম সিন্ডিকেট সভায় বর্তমান উপাচার্য ড. মো. শওকাত আলীর সভাপতিত্বে তদন্ত কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. এবিএম শাহিদুল ইসলাম এবং সদস্য হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের সাবেক অধ্যাপক শামসুল আলম সরকার। সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন রেজিস্ট্রার ড. মো. হারুন অর রশিদ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে সুপারিশপত্রে ‘কারসাজি’র মাধ্যমে প্রকৃত প্রার্থী মাহামুদুল হককে বঞ্চিত করে তাবিউর রহমান প্রধানকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির তদন্তেও এ তথ্য উঠে এসেছে।
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, নিয়োগ বোর্ডের সুপারিশে ইচ্ছাকৃত কাটাছেঁড়া করে ‘যে কাউকে’ উল্লেখ করে তাবিউরের নাম বসানো হয়। এই ভিত্তিতে তিনি এক যুগেরও বেশি সময় ধরে শিক্ষকতা করছেন।
এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে মাহামুদুল হক বলেন, “১৩ বছর ধরে অবৈধভাবে চাকরি করলেও তাকে আজও বরখাস্ত করা হয়নি। এটি শুধু তৎকালীন নয়, সব উপাচার্যের ব্যর্থতা।”
তাবিউর রহমানের বক্তব্য জানতে তার সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও তদন্ত কমিটির সদস্যসচিব ড. হারুন অর রশিদ জানান, পূর্বেও একটি তদন্ত কমিটি ছিল, তবে সিন্ডিকেটে পরিবর্তন আসায় কমিটি পুনর্গঠন করা হয়েছে। ইউজিসি ও অন্যান্য সংস্থার নির্দেশনার আলোকে নিরপেক্ষ তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ করা হবে।
১১৯ বার পড়া হয়েছে