এভিন কারাগারে ইসরায়েলি হামলায় ৭১ জন নিহত

নিহতদের মধ্যে বন্দি, কারা কর্মকর্তা, দর্শনার্থী ও আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা রয়েছেন। হামলাটি সংঘটিত হয় ইসরায়েল-ইরানের চলমান ১২ দিনের সংঘাতের এক পর্যায়ে, গত সপ্তাহে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম ‘মিজান’-এ দেওয়া বিবৃতিতে বিচার বিভাগের এক মুখপাত্র বলেন, “এভিন কারাগারের হামলায় নিহতদের মধ্যে সামরিক বাহিনীর সদস্য, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, বন্দিদের পরিবার ও আশেপাশের এলাকার সাধারণ মানুষও রয়েছেন।”

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ হামলার দায় স্বীকার করে বলেন, “কারাগারের মূল গেট লক্ষ্য করে আমাদের হামলাটি একটি কৌশলগত পদক্ষেপ ছিল, যার উদ্দেশ্য ছিল বন্দিদের পালাতে সহায়তা করা। ইরানি শাসকগোষ্ঠী বছরের পর বছর ধরে এই কারাগারকে নিপীড়নের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেছে।”

এই কারাগার আন্তর্জাতিকভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন, আটক সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীদের উপর নির্যাতনের জন্য পরিচিত। এখানে শিক্ষাবিদ, রাজবন্দি ও বিদেশি নাগরিকদেরও দীর্ঘদিন আটকে রাখার অভিযোগ রয়েছে।

হামলার পরে প্রকাশিত ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, কারাগারের জানালাগুলো ভেঙে গেছে, একটি আঙিনায় ধ্বংসস্তূপ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে, এবং দর্শনার্থীদের হল ও একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া প্রসিকিউটরের অফিসেও ক্ষয়ক্ষতির খবর মিলেছে।

হামলার মাত্রা ও পরিণতি নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক আলোচনা চলছে। বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের হামলা মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনাকে আরও জটিল করে তুলবে।