সর্বশেষ

সারাদেশ

কুষ্টিয়ায় পৌর বিএনপির কমিটি গঠনে তুঘলকি কাণ্ড, ভোট কারচুপির অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার, কুষ্টিয়া
স্টাফ রিপোর্টার, কুষ্টিয়া

শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫ ৫:০৫ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
কুষ্টিয়ায় কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে পৌর বিএনপির কমিটি গঠনে ভোট কারচুপি ও জ্বালজালিয়াতির গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

শুক্রবার (২৭ জুন) ভোট গ্রহণ সম্পন্নের পর ঘোষিত ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে ভোট পুনর্গণনা দাবি করেন পৌর বিএনপির পরাজিত নিকটতম সভাপতি প্রার্থী ও জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আক্তারুজ্জামান ওরফে কাজল মাজমাদার।

জানা গেছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক পর্যায়ক্রমে ধারাবাহিক সম্মেলনপূর্বক কুষ্টিয়া পৌর বিএনপির ২১টি ওয়ার্ডের কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তীতে গতকাল ২৭ জুন, শুক্রবার কুষ্টিয়া পৌর বিএনপির কমিটি গঠন উপলক্ষে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সাবেক এমপি অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন। এতে জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সকালে প্রথম অধিবেশনে কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হওয়ার পর বিকেল ৩টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়। এতে পৌর এলাকার ২১টি ওয়ার্ডের ৭১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটির প্রত্যেককে ভোটার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। মোট ভোটার ছিলেন ১৪৯১ জন। ভোটগ্রহণ শেষে দীর্ঘ প্রায় ৫ ঘন্টা পর রাত ১০টার দিকে ঘোষিত ফলাফলে জেলা বিএনপির আহবায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদ ও সদস্য সচিব জাকির সরকারের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত একে বিশ্বাস বাবুকে সভাপতি ও কামাল উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।

বিজয়ী সভাপতি একে বিশ্বাস বাবু পান ৬১১ ভোট। আর পরাজিত নিকটতম প্রার্থী বিপুল জনপ্রিয় কাজল মাজমাদার পান ৫৯৫ ভোট। নির্বাচন কমিশনের ঘোষণায় ১৬ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত নিকটতম সভাপতি প্রার্থী কাজল মাজমাদার ওই ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেন। এছাড়া কারচুপির অভিযোগ তুলে তিনি ভোট পুনর্গণনা দাবিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগও দাখিল করেন।

এ নিয়ে সদ্য নির্বাচিত পৌর বিএনপির ফলাফল নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ধূম্রজাল আর তীব্র অসন্তোষ। ভোট পুনর্গণনা দাবিতে কাজল মাজমাদার ও তার বিপুল সংখ্যক সমর্থকরা আজ শনিবার বিকেলে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির কার্যালয়ে অবস্থান করছিলেন। পরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ ও জেলা বিএনপির নেতাদের উপস্থিতিতে ভোট পুনর্গণনা করা হয়। সেখানেই পুনর্গণনায় কাজল মাজমাদারের প্রাপ্ত ভোটের মধ্যে বাতিলকৃত চারটি ভোট সঠিক মর্মে নতুন গণনায় যুক্ত করা হয়। ফলে কাজল মাজমাদারের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা দাঁড়ায় ৫৯৯ এবং দুই প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান দাঁড়ায় ১২।

বিএনপির সিনিয়র নেতা মিরাজুল ইসলাম রিন্টু অভিযোগ করে জানান, নির্বাচনে কারচুপি করা হয়েছে, এমন স্পষ্ট গন্ধ পাচ্ছি। ফলে ভোট পুনর্গণনায় আরও চার ভোট বেড়েছে। আর এতেই প্রমাণিত হয় যে, নির্বাচনে ভালো কারচুপি করা হয়েছে। এ নিয়ে কুষ্টিয়ায় বিএনপির রাজনীতি ও সাংগঠনিক ভিত্তিমূলে নতুন করে ফাটল এবং তীব্র অনৈক্য সৃষ্টি হতে পারে কাজল মাজমাদারের সমর্থকদের এমনটাই শঙ্কা। এছাড়া বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়াতে পারে বলেও তারা জানান।

ষড়যন্ত্রমূলকভাবে পরাজিত সভাপতি প্রার্থী কাজল মাজমাদার একই দাবিতে জানান, ভোট গণনাকালে আমি বিপুল ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে ছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে গণনা কারচুপিতে আমাকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে পরাজিত করা হয়েছে।

২০৯ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন