আন্তর্জাতিক সম্মাননা পেলেন টেকনাফের যুবক আব্দুল্লাহ, অংশ নিচ্ছেন জাপানে

শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫ ২:১৭ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
টেকনাফের সীমান্ত জনপদ থেকে উঠে আসা উদীয়মান সমাজকর্মী ও ইয়ং স্ট্রেন্থ ইন সোশ্যাল অর্গানাইজেশনস (YSSO)-এর প্রতিষ্ঠাতা মো. আব্দুল্লাহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এক অনন্য স্বীকৃতি লাভ করেছেন।
তিনি জাপানের হোক্কাইডো বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত “১২তম জিসিবি বায়োমেডিকেল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং সিম্পোজিয়াম ২০২৫”-এ অংশগ্রহণের জন্য মনোনীত হয়েছেন।
সিম্পোজিয়ামটি আগামী ১৭ আগস্ট ২০২৫ অনুষ্ঠিত হবে হাইব্রিড ফরম্যাটে। এবারের থিম নির্ধারণ করা হয়েছে “Excellence and Extension of Radiotherapy”।
মো. আব্দুল্লাহ বর্তমানে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল ফিজিক্স ও বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে অধ্যয়নরত। তাঁর গবেষণা কার্যক্রমের তত্ত্বাবধানে রয়েছেন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোখলেছুর রহমান। একই বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী রাকিব হোসেনও এই গ্রীষ্মকালীন গবেষণা প্রোগ্রামের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।
হোক্কাইডো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রেরিত অফিসিয়াল আমন্ত্রণপত্র ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ২৬ জুন ২০২৫ তারিখে অংশগ্রহণকারীদের কাছে পৌঁছে যায়।
এই সিম্পোজিয়ামে অংশগ্রহণের মাধ্যমে মো. আব্দুল্লাহ রেডিওথেরাপি, ইমিউনো পিইটি ইন অনকোলজি, থেরাগনস্টিক রেডিওফার্মাসিউটিক্যালস ও কার্ডিয়াক অ্যাবলেশনের মতো আধুনিক চিকিৎসা প্রযুক্তির ওপর হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন। এ ছাড়া তিনি PET স্ক্যানার, লিনিয়ার অ্যাক্সিলারেটর, গামা ক্যামেরা ও MRI মেশিন পরিচালনার ব্যবহারিক জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পাবেন।
অর্জনের অনুভূতি ব্যক্ত করে আব্দুল্লাহ বলেন,
“এই স্বীকৃতি শুধু আমার একার নয়, এটি আমার বিশ্ববিদ্যালয়, আমার জেলা, এবং দেশ সবার জন্য গৌরবের বিষয়। ভবিষ্যতে আমি গবেষণা ও মানবিক কার্যক্রমের মাধ্যমে এই অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে চাই। YSSO-এর মাধ্যমে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য কাজ করাই আমার লক্ষ্য।”
উল্লেখ্য, সিম্পোজিয়ামের ফেলোশিপ প্রোগ্রামের আওতায় জাপানে আবাসন ও খাদ্যব্যয় বহন করা হলেও বিমানভাড়া নিজ খরচে বহন করতে হবে অংশগ্রহণকারীদের। এ বিষয়ে আব্দুল্লাহ বলেন,
“আমি দেশবাসীর দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি। আল্লাহ এই সুযোগ দিয়েছেন, ইনশাআল্লাহ তিনিই ব্যবস্থা করে দেবেন—তাওয়াক্কালতু আলাল্লাহ।”
প্রান্তিক অঞ্চল থেকে উঠে আসা একজন তরুণের এমন অর্জন দেশের চিকিৎসা গবেষণা ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে আশাব্যঞ্জক দৃষ্টান্ত তৈরি করবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা। একইসঙ্গে এটি দেশের তরুণ সমাজের জন্য একটি অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবেও বিবেচিত হবে।
১৪১ বার পড়া হয়েছে