যৌন নিপীড়নের অভিযোগে ক্লাস-পরীক্ষা থেকে নিষিদ্ধ অধ্যাপক আহাদ

শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫ ১০:৪২ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
নারী শিক্ষার্থীকে যৌন হেনস্তা ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগে পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ডিজাস্টার রিস্ক ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. এ কে এম আবদুল আহাদ বিশ্বাসকে তিন বছরের জন্য পদাবনমিত করা হয়েছে।
তাকে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে নির্দিষ্ট শর্তসাপেক্ষে অবনমিত করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দিন স্বাক্ষরিত ১৯ জুন ২০২৫ তারিখের এক অফিস আদেশে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এর আগে ৩০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত পবিপ্রবির রিজেন্ট বোর্ডের ৫৫তম সভায় তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সর্বসম্মতভাবে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আদেশ অনুযায়ী, অবনমনের মেয়াদে ড. আহাদ বিশ্বাস ক্লাস নেওয়া, পরীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা, শিক্ষার্থীদের গবেষণা তত্ত্বাবধানসহ কোনো শিক্ষাগত কার্যক্রমে অংশ নিতে পারবেন না। একই সঙ্গে তাকে সতর্ক করা হয়েছে, এই সময়ের মধ্যে পুনরায় কোনো অসদাচরণ করলে বা আগের ধরনের আচরণে লিপ্ত হলে উপাচার্য তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ছাড়াই চাকরিচ্যুত করতে পারবেন। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তার কোনো আপিল করার সুযোগও নেই।
তবে শর্ত পূরণ সাপেক্ষে তিন বছর পর তিনি পূর্বের পদ ও স্কেলে পশু বিজ্ঞান বিভাগে পুনর্বহাল হতে পারবেন। এই সময়কাল তার চাকরিকাল হিসেবে গণ্য হবে না।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষদের ২০১৮-১৯ সেশনের এক ছাত্রী তার বিরুদ্ধে মানসিক নিপীড়ন ও যৌন হয়রানির লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে বলা হয়, অধ্যাপক আহাদ দীর্ঘদিন ধরে তাকে মানসিকভাবে হয়রানি করতেন, ব্যক্তিগত বিষয়ে কটূক্তি করতেন এবং একাধিকবার অনভিপ্রেত আচরণ করেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে এবং তদন্ত কমিটি গঠন করে।
তাছাড়া, তার বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে যেমন পরীক্ষায় ইচ্ছাকৃতভাবে নম্বর কেটে দেওয়া, দীর্ঘ সময় ধরে অনলাইন ক্লাস নেওয়া এবং শিক্ষার্থীদের ফলাফল আটকে রাখা। এসব নিয়ে ২০২৩ সালের ১৮ নভেম্বর একই বর্ষের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগও দেয়।
বিষয়টি নিয়ে ড. আহাদ বিশ্বাসের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
১১৭ বার পড়া হয়েছে