“এক সপ্তাহের মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা” আশাবাদী ট্রাম্প

শুক্রবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প জানান, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কিছু ব্যক্তির সঙ্গে কথোপকথনের পর তিনি এই আশাবাদ পেয়েছেন। আল জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্প বলেন, “আমি মনে করি এটা এখন খুব কাছাকাছি। আমি এমন কিছু লোকের সঙ্গে কথা বলেছি যারা বিষয়টির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত। আমি বিশ্বাস করি, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই আমরা একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছাবো।”

তবে তিনি কাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য দেননি।

এদিকে জর্ডানের আম্মান থেকে আল জাজিরার প্রতিবেদক নুর ওদেহ জানিয়েছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা সেখানে অবরুদ্ধ, ক্ষুধার্ত ও ধ্বংসপ্রাপ্ত মানুষের জন্য আশার বার্তা হলেও বাস্তবতা এখনও জটিল। তিনি সতর্ক করে বলেন, “ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির পর এই আলোচনা গতি পেয়েছে, কিন্তু ইসরায়েল যুদ্ধের ইতি টানতে প্রস্তুত কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু যদি যুদ্ধ থামাতে সম্মত হন, তবে সেটা তার জন্য রাজনৈতিক ঝুঁকি বহন করতে পারে।”

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, কিছু আরব রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণের বিনিময়ে ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতিতে রাজি করাতে একটি চুক্তির ধারণা রয়েছে যা মূলত ট্রাম্প প্রশাসনের কূটনৈতিক কৌশলের অংশ।

অন্যদিকে, হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হতে পারে যদি ইসরায়েল গাজার ওপর তাদের সামরিক আগ্রাসন বন্ধ করে এবং মার্চ মাসে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের পর দখল করা এলাকাগুলো থেকে সেনা প্রত্যাহার করে।

হামাস আরও বলেছে, আলোচনার সময় যত লাগুক না কেন, তারা এমন একটি নিশ্চয়তা চায় যে ইসরায়েল আর কোনোভাবেই যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করবে না।