সর্বশেষ

অর্থনীতি

দুই বছর পর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে স্বস্তির বার্তা, ছাড়াল ২৪ বিলিয়ন ডলার

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

শুক্রবার, ২৭ জুন, ২০২৫ ৫:৪৬ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
দীর্ঘ দুই বছর পর বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও ২৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঘর অতিক্রম করেছে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এবং বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে প্রাপ্ত ঋণ এবং রেমিট্যান্সে ইতিবাচক প্রবাহ এই বৃদ্ধির প্রধান কারণ বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিপিএম৬ (Balance of Payments Manual 6) পদ্ধতিতে হিসাব অনুযায়ী দেশের রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলারে—যা ২০২৩ সালের জুনের পর সর্বোচ্চ। একই সময়ে গ্রস রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, গতকালই আইএমএফের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তি হিসেবে ১.৩৪ বিলিয়ন (১৩৪ কোটি) ডলার এবং বিশ্বব্যাংকের বাজেট সহায়তার বাকি ১৫ কোটি ডলার রিজার্ভে যোগ হয়। আগের দিনই বিশ্বব্যাংক থেকে পাওয়া ৩৫ কোটি ডলার জমা হয়েছিল।

এর ফলে মাত্র একদিনের ব্যবধানে রিজার্ভ বেড়েছে প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডলার—বুধবার যা ছিল ২২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, রিজার্ভের এই ধারা অব্যাহত থাকলে জুন মাস শেষের আগেই গ্রস রিজার্ভ ৩০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে, আর বিপিএম৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়াতে পারে।

আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) এবং এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) থেকে আরও বড় অঙ্কের অর্থ রিজার্ভে যোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

জাইকার অনুমোদিত প্রায় ৪২ কোটি ডলার শুক্রবার পাওয়ার কথা রয়েছে, যা রিজার্ভে যুক্ত হবে রোববার।
এআইআইবির ৪৪ কোটি ডলার আসবে সোমবারের মধ্যে।
বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে, ৩০ জুনের মধ্যেই আরও কিছু আন্তর্জাতিক সহায়তা পাওয়া যাবে, যা রিজার্ভকে আরও শক্ত ভিত্তিতে নিয়ে যাবে।

গত বছরের আগস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদ শেষে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নেমে গিয়েছিল ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলারে। সেখান থেকে গত কয়েক মাসে ধাপে ধাপে রিজার্ভ বেড়ে বর্তমানে ২৪ বিলিয়নের ঘর অতিক্রম করেছে।

উল্লেখ্য, দেশের ইতিহাসে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সর্বোচ্চ ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২২ সালের আগস্টে রেকর্ড হয়েছিল।

অর্থনীতিবিদ ও নীতি-নির্ধারকরা বলছেন, বর্ধিত রিজার্ভ দেশের বৈদেশিক লেনদেন ও মুদ্রা ব্যবস্থাপনার জন্য স্বস্তিদায়ক বার্তা বহন করছে। বিশেষ করে আমদানি ব্যয় মেটানো, মুদ্রা বাজারে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং টাকার মান রক্ষা করতে এই রিজার্ভ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

১১৮ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
অর্থনীতি নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন