যুদ্ধ-পরবর্তী ভাষণে যা বললেন আয়াতুল্লাহ খামেনি

বৃহস্পতিবার , ২৬ জুন, ২০২৫ ১১:৪৯ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের সংঘাতের পর জাতির উদ্দেশে প্রথমবারের মতো টেলিভিশনে ভাষণ দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দেওয়া এ ভাষণে তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিজয়ের জন্য ইরানি জনগণ ও সশস্ত্র বাহিনীকে অভিনন্দন জানান।
খামেনি বলেন, "ভুয়া ইহুদিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে বিজয়ের জন্য আমি আপনাদের অভিনন্দন জানাচ্ছি। ইসলামি প্রজাতন্ত্রের আঘাতে এই অবৈধ শক্তি দুর্বল হয়ে পড়েছে। তাদের উচ্চকণ্ঠ হুমকির পেছনে ছিল ভেতরের ভঙ্গুরতা, যা এবার স্পষ্ট হয়ে গেছে।"
তিনি অভিযোগ করেন, এই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি অংশ নিয়েছিল। তার ভাষায়, “আমেরিকানরা জানত, তারা হস্তক্ষেপ না করলে ইহুদিবাদীদের পতন অনিবার্য। কিন্তু তাতে তাদের কোনো অর্জন হয়নি। বরং ইরান তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত আঘাত হেনেছে।"
ইরানি জনগণের ঐক্যের প্রশংসা করে খামেনি বলেন, "নয় কোটি মানুষের এ দেশ একসঙ্গে দাঁড়িয়েছে। আমাদের জনগণ দেখিয়েছে, বিপদের মুহূর্তে তারা কিভাবে নিজেদের শক্তি ও সংহতি প্রকাশ করতে পারে।"
তিনি আরও হুঁশিয়ার করেন, ইরানের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে কোনো ধরনের আগ্রাসন চালানোর চেষ্টা করলে তার চড়া মূল্য দিতে হবে। “ইহুদিবাদীরা কখনো ভাবেনি, তারা এমনভাবে আঘাত পাবে। আমাদের সেনাবাহিনী শত্রুর প্রতিরক্ষা বলয় ভেঙে তাদের কেন্দ্রস্থলে আঘাত হেনেছে।”
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করে খামেনি বলেন, পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ধ্বংসের যে দাবি ট্রাম্প করেছিলেন তা পুরোপুরি মিথ্যা। “যুক্তরাষ্ট্রের হামলা কোনো লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি। ইরানি জাতি ঐক্যবদ্ধ ছিল এবং থাকবে,” বলেন তিনি।
আত্মসমর্পণের প্রসঙ্গে খামেনি বলেন, “ট্রাম্প বলেছেন, ইরান আত্মসমর্পণ করলেই কেবল যুক্তরাষ্ট্র সন্তুষ্ট হবে। কিন্তু আত্মসমর্পণ কোনো দিন ঘটবে না। ইরান শক্তিশালী রাষ্ট্র, আমরা মুখের জবাব দিয়েছি হাতে।”
শেষে তিনি বলেন, “আমাদের জনগণ সম্মানিত ও বিজয়ী এবং তারা এমনই থাকবে। আমাদের শক্তির জন্য আমরা আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞ।”
১২১ বার পড়া হয়েছে