করোনা-ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কের কারণ নেই: শিক্ষা উপদেষ্টা

বৃহস্পতিবার , ২৬ জুন, ২০২৫ ৬:৫৫ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা চলাকালে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ায় করোনা ও ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আবরার।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাজধানীর ভাসানটেক সরকারি কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে দেখি, সব পরীক্ষার্থী মাস্ক পরা অবস্থায় এসেছে এবং নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে পরীক্ষা দিচ্ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমরা আগেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালিয়েছি। সবদিক থেকে আমাদের প্রস্তুতি সন্তোষজনক, তাই করোনাভাইরাস বা ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।”
কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় দেখা যায়, কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে যানবাহন চলাচল ও অভিভাবকদের ভিড় না করার যে নির্দেশনা ছিল, তা পুরোপুরি মানা হয়নি। এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, “আমি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছু পরে এসেছি। খুব বেশি ভিড় বা বিশৃঙ্খলা চোখে পড়েনি। তবে বাস্তবতা হলো, সব নিয়ম শতভাগ বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না। ধাপে ধাপে এসব বিষয়ে উন্নতি হবে বলে আশা করি।”
প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়ে উদ্বেগ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, “প্রতিবারই প্রশ্নফাঁসের একটা সম্ভাবনা থাকে, এবারও রয়েছে। তবে আমরা আগের মতোই সজাগ ও তৎপর। গুজব ছড়ালে বা কেউ অসাধু পথে এগোতে চাইলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
কর্মদিবসে পরীক্ষার কারণে যানজটে পরীক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এটি নিয়ে ভাবনা অবশ্যই আছে। বিকেলে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়েও চিন্তা করা হয়, তবে দুপুরের নামাজ, খাবারসহ নানা বিষয় বিবেচনায় নিয়ে সময়সূচি নির্ধারণ করতে হয়। তাছাড়া আবহাওয়ার অবস্থাও বিবেচ্য।”
বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হলে পরীক্ষার বিষয়ে করণীয় কী হবে জানতে চাইলে শিক্ষা উপদেষ্টা জানান, “এর জন্য পূর্ব প্রস্তুতি নেওয়া আছে। কোনো এলাকায় পরীক্ষা নেওয়ার মতো অবস্থা না থাকলে নিয়ম মেনে বিকল্প ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
প্রশ্নপত্রের মান নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “আমি এখনও প্রশ্নপত্র দেখিনি। তবে কেউ প্রশ্ন ভালো বলবে, কেউ খারাপ এটা নির্ভর করে শিক্ষার্থীর প্রস্তুতি ও বোঝাপড়ার ওপর। আমাদের কাজ হলো প্রশ্নপত্রের মান ও মানদণ্ড ঠিক রাখা, সেটা আমরা নিশ্চিত করছি।”
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির তথ্য অনুযায়ী, এবার সারাদেশে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের আওতায় মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
প্রথম দিনে ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১ হাজার ৬০৫টি কেন্দ্রে বাংলা প্রথমপত্র, মাদরাসা বোর্ডের ৪৫৯টি কেন্দ্রে আলিমের কোরআন মাজিদ এবং কারিগরি বোর্ডের ৭৩৩টি কেন্দ্রে এইচএসসি (বিএম/বিএমটি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সব পরীক্ষাই সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়ে শেষ হয়েছে দুপুর ১টায়।
১১৪ বার পড়া হয়েছে