যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিমুখী ভূমিকা নিয়ে ইরানের তীব্র অভিযোগ

তিনি আরও বলেন, “আমরা যখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনায় ছিলাম, তখনই ইসরায়েল এই আগ্রাসন চালায়—এটি ওয়াশিংটনের সমন্বয় ছাড়া সম্ভব নয়।”

বাঘাঈ অভিযোগ করেন, ইসরায়েলি হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা ও বেসামরিক এলাকা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এই হামলা আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তিনি বলেন, “এই আগ্রাসন কেবল ইরানের বিরুদ্ধে নয়, গোটা আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার জন্য হুমকি। যারা ইসরায়েলকে সমর্থন বা ন্যায্যতা দেয়, তারাও এই অপরাধে অংশীদার।”

ইরানের দাবি, ইসরায়েল এই হামলা চালাতে পারতো না যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বানুমতি বা সমর্থন ছাড়া। বাঘাঈ বলেন, “এটা আমাদের অঞ্চলে কল্পনাতীত—যুক্তরাষ্ট্রের সবুজ সংকেত ছাড়া ইসরায়েল এমন হামলা চালাবে।”

তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে এই আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান এবং বলেন, “এটি এখন গোটা বিশ্বের জন্য একটি পরীক্ষা—আপনারা কি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়াবেন, নাকি আবারও নীরব থাকবেন?”

এদিকে, ইসরায়েল দাবি করেছে, তাদের হামলা ছিল আত্মরক্ষামূলক এবং পারমাণবিক হুমকি প্রতিহত করার জন্য। তবে ইরান জোর দিয়ে বলেছে, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ এবং আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বৈধ।