চার স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেফতার

বৃহস্পতিবার , ২৬ জুন, ২০২৫ ৪:০৬ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
চার স্কুলছাত্রীকে আটকে রেখে ধারাবাহিকভাবে ধর্ষণের অভিযোগে এক শিক্ষককে মোহাম্মদপুরের একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৫ জুন) সকালে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা পুলিশ তাকে আটক করে। সেই সঙ্গে তিন কিশোরী ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
আটক শিক্ষক মিজানুর রহমান মিজান (৪৫) নারায়ণগঞ্জের পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক। তার বাড়ি বরিশালের আগৈলঝাড়া এলাকায়। পুলিশ জানায়, মিজানের বিরুদ্ধে ঢাকায় আগেও পর্নোগ্রাফি ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা রয়েছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, পাগলা উচ্চ বিদ্যালয়ে তিনি আর্ট ও কম্পিউটার ক্লাস নেন। থাকেন ঢাকার মোহাম্মদপুরের সাদেক খান রোডে। দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের টার্গেট করে প্রলোভনের ফাঁদে ফেলতেন তিনি। ৬ জুন দশম শ্রেণির দুই ছাত্রীর উপর নির্যাতন চালানো হয়, এরপর ১১ জুন একই শ্রেণির আরেকজনের উপর ও ২৩ জুন আরও একজনের উপর একই কায়দায় ধর্ষণ চালানো হয়।
অভিযুক্ত শিক্ষক এই সব ভুক্তভোগীদের মোহাম্মদপুরের বাসায় নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। পরিবারগুলো দিনমজুর, ভাঙাড়ি বিক্রেতা বা ইটভাটার শ্রমিক, যারা অর্থের অভাবে তাদের সন্তানদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারেননি।
২৪ জুন এক কিশোরী পালিয়ে পরিবারসহ অন্যদের বিষয়টি জানায়। এর পরই পুলিশ মোহাম্মদপুরে অভিযান চালিয়ে ওই কিশোরীসহ তিনটি ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে। পুলিশ আরও জানায়, অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে ফতুল্লা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অপরদিকে, সিদ্ধিরগঞ্জে এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে তানভীর আহমেদ (২১) নামের এক তরুণকে এলাকাবাসী আটক করে পুলিশে দেয়। শিশুটি সোমবার সন্ধ্যায় পাইনাদি নতুন মহল্লার এক ভবনের নিচতলায় খেলছিল। সেই সময় চকলেটের প্রলোভনে তাকে বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে তানভীর। পরে শিশুটিকে অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে স্বজনরা।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা ও চিকিৎসা চলমান রয়েছে। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহীনুর আলম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলি এই ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। নিরাপত্তা ও ন্যায্য বিচার নিশ্চিতের জন্য জনগণের সহযোগিতা ও সচেতনতা প্রয়োজন।
১২০ বার পড়া হয়েছে