আজ হাইকোর্টে শুনানি: বিচার বিভাগের আলাদা সচিবালয় গঠনে রুল

বৃহস্পতিবার , ২৬ জুন, ২০২৫ ৩:৪৫ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
বিচার বিভাগীয় পৃথক সচিবালয় গঠন এবং সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের ওপর আজ বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) আবারও শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
হাইকোর্টের বিচারপতি আহমেদ সোহেল ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানি হবে।
এর আগে গতকাল বুধবার এবং সর্বশেষ অবকাশকালীন ছুটির আগে ২২ মে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানির ধারাবাহিকতায় আজকের দিন নির্ধারণ করে আদালত।
আদালতের পর্যবেক্ষণে রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক ইস্যু
রিটকারীদের পক্ষে শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট সাদ্দাম হোসেন ও অ্যাডভোকেট জায়েদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মোহাম্মদ মেহেদি হাসান। এ ছাড়া অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে আদালতকে সহায়তা করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট ড. শরীফ ভূঁইয়া।
২০২৩ সালের ২৫ আগস্ট সাতজন আইনজীবী এ রিট আবেদনটি দায়ের করেন। এতে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ এবং ২০১৭ সালের ‘জুডিসিয়াল সার্ভিস (শৃঙ্খলা) বিধিমালা’র বৈধতা চ্যালেঞ্জ করা হয়। পাশাপাশি বিচার বিভাগের জন্য আলাদা সচিবালয় প্রতিষ্ঠার নির্দেশনা চাওয়া হয়। ওই বছরের ২৭ অক্টোবর হাইকোর্ট এ বিষয়ে রুল জারি করেন।
১১৬ অনুচ্ছেদ ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা
বর্তমানে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, অধস্তন আদালতের বিচারক ও ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ ও শৃঙ্খলা বিধান রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত রয়েছে। তবে রাষ্ট্রপতি এ দায়িত্ব পালনে সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শ করেন—এমন উল্লেখ থাকলেও রিটকারীদের আইনজীবীদের মতে, বাস্তবে নির্বাহী বিভাগের প্রভাব এই প্রক্রিয়ায় বিরাজ করছে, যা বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করে।
রিটে বলা হয়, ১৯৭২ সালের সংবিধানে এ দায়িত্ব ছিল সুপ্রিম কোর্টের হাতে। কিন্তু ১৯৭৪ সালের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে তা রাষ্ট্রপতির অধীনে আনা হয়। পরবর্তী সময়ে পঞ্চম ও পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে অনুচ্ছেদটি বর্তমান রূপে বহাল থাকে।
সংবিধান ও বাস্তবতার মধ্যে দ্বন্দ্ব
আইনজীবীদের মতে, বিচার বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণে নির্বাহী বিভাগের সম্পৃক্ততা সংবিধানের মূল আত্মার পরিপন্থী। রুলের শুনানিতে আদালতের রায় এই গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক প্রশ্নে দিকনির্দেশনা দিতে পারে।
১০৬ বার পড়া হয়েছে