চাটমোহরে শুরু হচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল প্রশিক্ষণ ক্যাম্প, বাছাই পর্বে অংশ নেয় ৪৫০ খেলোয়াড়

বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫ ১:৩৩ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
পাবনার চাটমোহরে শুরু হতে যাচ্ছে অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল খেলোয়াড়দের জন্য দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ ক্যাম্প।
এই উপলক্ষে বুধবার (২৫ জুন) বিকেলে চাটমোহর বালুচর খেলার মাঠে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় খেলোয়াড় বাছাই কার্যক্রম।
অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক স্ট্রাইকার এনামুল হক। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুসা নাসের চৌধুরী।
চাটমোহর উপজেলা প্রশাসন ও পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে এবং চাটমোহর স্পোর্টস একাডেমীর তত্ত্বাবধানে আয়োজিত এ বাছাই কার্যক্রমে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অনূর্ধ্ব-২০ জাতীয় দলের সাবেক গোলরক্ষক প্রশিক্ষক রতন আলী, ঢাকার মুগদা সমাজকল্যাণ ক্রিয়া সংসদের প্রধান কোচ শিপন এবং জাতীয় দলের সাবেক খেলোয়াড় শমসের আলম।
বাছাইয়ে সহায়তা করেন স্থানীয় প্রাক্তন খেলোয়াড় আশরাফুল আলম হেলাল, তৌহিদুল ইসলাম তাইজুল, আব্দুল বারি ওরফে বারি গুরু, আব্দুস সালাম, আরমান, আনোয়ার, রবিউল করিম, গোলাম ইয়াছিন ও সুজনসহ আরও অনেকে।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ৮–১২, ১৩–১৪ এবং ১৫–১৭—এই তিনটি বয়সভিত্তিক ক্যাটাগরিতে বাছাই কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রায় ৪৫০ জন ক্ষুদে ফুটবলার অংশগ্রহণ করে। চূড়ান্ত বাছাই শেষে মোট ৯৫ জন খেলোয়াড়কে প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮–১২ বছর ক্যাটাগরিতে ২৫ জন, ১৩–১৪ বছর ক্যাটাগরিতে ৩৪ জন, ১৫–১৭ বছর ক্যাটাগরিতে ৩১ জন এবং অতিরিক্তভাবে ৫ জন গোলরক্ষক নির্বাচিত হন।
চাটমোহর স্পোর্টস একাডেমীর আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম তাইজুল বলেন, “বর্তমান প্রজন্ম মোবাইল, কিশোর গ্যাং ও মাদকের দিকে ঝুঁকে পড়ছে। তাদের মাঠমুখী করতে এবং ফুটবলের প্রতি আগ্রহ তৈরি করতেই এই উদ্যোগ। সঠিক প্রশিক্ষণ পেলে এখান থেকেই দেশের জন্য ভবিষ্যতের তারকা ফুটবলার উঠে আসবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।”
চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুসা নাসের চৌধুরী বলেন, “তরুণদের খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি এবং দক্ষতা উন্নয়নের লক্ষ্যেই এই ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। বাছাইয়ে উত্তীর্ণরা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে এই প্রশিক্ষণে অংশ নিতে পারবে।” আগামী ১ জুলাই থেকে দুই মাসব্যাপী এই প্রশিক্ষণ ক্যাম্প শুরু হবে। প্রয়োজনে সময়সীমা আরও বাড়ানো হতে পারে বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এনামুল হক বলেন, “এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে সময়োপযোগী ও প্রশংসনীয়। দেশজুড়ে ক্রীড়া সংগঠকরা যেভাবে কাজ করছেন, তা ভবিষ্যতে মানসম্পন্ন খেলোয়াড় গড়ে তুলতে বড় ভূমিকা রাখবে। উপজেলা পর্যায়ে এভাবে খেলোয়াড় খুঁজে বের করে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করাটা বড় অর্জন।”
১২৮ বার পড়া হয়েছে