একবার বাঁচলেও দ্বিতীয়বার পারলেন না মুশফিক

ব্যক্তিগত ৮ রানে একবার জীবন পেলেও দ্বিতীয়বার আর পার পেলেন না তিনি। ৩৫ রানে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে ছয় উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ।

টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর শুরুটা বেশ রক্ষণাত্মকই ছিল টাইগারদের। ওপেনার সাদমান ইসলাম ও এনামুল হক বিজয় চেষ্টা করলেও উইকেটে থিতু হতে ব্যর্থ হন বিজয়। ১০ বল মোকাবেলায় কোনো রান না করেই ফিরে যান আসিথা ফার্নান্দোর বলে বোল্ড হয়ে। অথচ তার আগে দুইবার জীবন পেয়েছিলেন তিনি একবার কিপারের হাতে ক্যাচ ফেলে যাওয়া, আরেকবার স্লিপে জীবন।

মুমিনুল হক একপ্রান্তে সামলে নিলেও তার ইনিংসও থেমে যায় ২১ রানে। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার বলে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন তিনি। ৪৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

পরের উইকেটে শান্ত-সাদমানের জুটি কিছুটা আশ্বাস দিলেও বড় হতে পারেনি। ২ রানের ব্যবধানে দুই সেট ব্যাটার শান্ত (৮) ও সাদমান (৪৬) ফিরলে চাপ বাড়ে সফরকারীদের ওপর। এরপর আসে বৃষ্টির বাধা ৩৩.২ ওভারের পর বন্ধ হয়ে যায় খেলা। তখন বাংলাদেশ ছিল ৪ উইকেটে ৯০ রানে।

প্রায় দেড় ঘণ্টা পর খেলা শুরু হলে মাঠে নামে লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। দুজনে ৬৭ রানের গুরুত্বপূর্ণ জুটি গড়েন। তবে লিটনের উইকেট ছিল অনেকটাই আত্মঘাতী। স্লগ করতে গিয়ে একবার জীবন পেয়েও শিক্ষা না নিয়ে পরের ওভারে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ৫৬ বলে ৩৪ রান করে বিদায় নেন লিটন।

এরপর সকলের দৃষ্টি ছিল মুশফিক ও মেহেদি হাসান মিরাজের জুটির দিকে। কিন্তু সেখানেও হতাশা। চা-বিরতির পর স্লগ সুইপ করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অভিজ্ঞ মুশফিক। তার ব্যাট থেকে আসে ৭৫ বলে ৩৫ রান, যেখানে ছিল ৪টি বাউন্ডারি।

মুশফিকের এমন শট নির্বাচন ও সময় বেছে নেওয়া সমর্থকদের জন্য হতাশার কারণ হয়ে দাঁড়ায় বিশেষ করে দলের কঠিন সময়ে আরও দায়িত্বশীল ইনিংসের প্রত্যাশা ছিল তার কাছ থেকে।