যুদ্ধবিরতি নিয়ে খামেনির নীরবতা: গড়িমসি না কৌশল!

বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫ ১২:১১ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের পর ১৩ জুন আনুষ্ঠানিক যুদ্ধবিরতির ঘোষণা আসে।
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে তেহরানও অন্তত দেশটির প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানসহ শীর্ষ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা প্রকাশ্যে যুদ্ধবিরতি মেনে নেওয়ার কথা বলেছেন।
কিন্তু প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে: ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি এই যুদ্ধবিরতিকে কতটা মানছেন? এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে তার পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য আসেনি।
ইরানের রাজনৈতিক কাঠামোয় খামেনির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত এমন বাস্তবতায় তার নীরবতা দেশ-বিদেশে উদ্বেগ এবং জল্পনা তৈরি করেছে। অনেকে মনে করছেন, এই নীরবতার পেছনে কৌশলগত ভাবনা রয়েছে, আবার কেউ কেউ একে যুদ্ধবিরতির প্রতি অনিচ্ছার ইঙ্গিত হিসেবেও দেখছেন।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ১৮ জুন খামেনির দেওয়া সর্বশেষ টেলিভিশন ভাষণেও যুদ্ধবিরতি বা সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে কোনো মন্তব্য ছিল না। ওই ভাষণটি পূর্বে রেকর্ড করা বলেও জানা গেছে।
অন্যদিকে, ২২ জুন মধ্যরাতে ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ নামে ইসরায়েলের পরমাণু স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা চালানোর একদিন পরেই ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। তিনি দাবি করেন, ইরানের পরমাণু সক্ষমতায় চূড়ান্ত আঘাত হানা হয়েছে।
পরে প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান জানিয়ে দেন, ইসরায়েল যদি আর আগ্রাসনে না যায়, তবে ইরানও শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখবে।
তবে খামেনির নীরবতা এখনো ভাঙেনি যা গোটা মধ্যপ্রাচ্যে নতুন করে উদ্বেগের সৃষ্টি করছে। তিনি কি যুদ্ধবিরতির পক্ষে, নাকি এখনও তার সিদ্ধান্ত অধরাই?
১৪৭ বার পড়া হয়েছে