সর্বশেষ

শিক্ষা

বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষা, ১২ লাখের বেশি পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫ ৭:৫৮ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
বাংলাদেশে উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে আগামী বৃহস্পতিবার (২৬ জুন)।

সকাল ১০টায় বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষার মধ্য দিয়ে শুরু হবে এই বছরের এইচএসসি পরীক্ষা, যা চলবে ১০ আগস্ট পর্যন্ত। পরে ব্যবহারিক পরীক্ষা নেওয়া হবে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এবার মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ৫০৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এর মধ্যে সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের আওতায় পরীক্ষার্থী রয়েছে প্রায় ১০ লাখ ৫৫ হাজার, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীন আলিম পরীক্ষার্থী প্রায় ৮৬ হাজার এবং কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে রয়েছে এক লাখ নয় হাজারের বেশি শিক্ষার্থী।

এবারের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা গত বছরের তুলনায় কমেছে ৮১ হাজার ৮৮২ জন। ২০২৪ সালে এই সংখ্যা ছিল ১৩ লাখ ৩২ হাজার ৯৯৩ জন।

দেশজুড়ে ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে পরীক্ষা গ্রহণ করা হবে। সরকার এবার পরীক্ষাকে শান্তিপূর্ণ, নিরাপদ ও নকলমুক্ত রাখতে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে প্রশ্নফাঁস প্রতিরোধ ও পরীক্ষার্থীদের সুরক্ষায় আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে ২৪ জুন।

পরীক্ষার্থীদের জন্য ১০টি নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা বোর্ড, যার মধ্যে রয়েছে—পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে কেন্দ্রে পৌঁছাতে হবে, ওএমআর ফরমে সঠিকভাবে তথ্য পূরণ ও বৃত্ত ভরাট করতে হবে, মোবাইল ফোন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, এবং শুধু নির্ধারিত সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে। তত্ত্বীয়, এমসিকিউ ও ব্যবহারিক—তিনটি অংশেই আলাদাভাবে পাস করতে হবে।

এছাড়াও পরীক্ষার্থীরা শুধুমাত্র প্রবেশপত্রে উল্লেখিত বিষয়েই অংশগ্রহণ করতে পারবে এবং পরীক্ষার জন্য নিজ প্রতিষ্ঠান বাদে অন্য কেন্দ্রে বসতে হবে। উত্তরপত্র ভাঁজ না করার নির্দেশনাও রয়েছে।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড ইতোমধ্যে ৩৩ দফা নির্দেশনা দিয়েছে যাতে কেন্দ্রগুলোতে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা গ্রহণ সম্ভব হয়। প্রতি ২০ জন পরীক্ষার্থীর জন্য একজন কক্ষ পরিদর্শকের ব্যবস্থা, পরীক্ষার খাম খোলার সময় সুনির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলা, এবং প্রশ্নপত্র পরিবহনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

পরীক্ষাকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ, সিসিটিভি স্থাপন, পোস্টারিং, এবং শুধুমাত্র কাঁটাযুক্ত ঘড়ির অনুমতির মতো বিষয়গুলোও নির্দেশনায় উল্লেখ আছে। বর্ষা মৌসুমে বিদ্যুৎ বিভ্রাট এড়াতে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতির জন্য স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

পরীক্ষাকেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে মাস্ক পরা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, করোনা পরবর্তী পরিস্থিতির অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়েও কঠোর নজরদারি থাকবে।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক খন্দকার এহসানুল কবির জানিয়েছেন, সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক থাকবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও গুজব বা বিভ্রান্তি ছড়ানো ঠেকাতে বিশেষ নজরদারি চালানো হবে।

১২১ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
শিক্ষা নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন