শেখ হাসিনা ও কামালের জন্য রাষ্ট্রীয় আইনজীবী নিয়োগের আদেশ ট্রাইব্যুনালের

মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫ ৯:৫২ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
জুলাই-আগস্ট মাসে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আইনজীবী (স্টেট ডিফেন্স) নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
একই সঙ্গে মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ২ জুলাই।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তিন সদস্যের বেঞ্চ এই আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম, চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর আব্দুস সোবহান তরফদার, মো. মিজানুল ইসলাম ও আব্দুস সাত্তার পালোয়ান।
প্রসিকিউশন জানায়, শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান কামালকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও তাঁরা ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হননি। তাই রাষ্ট্রীয় আইনজীবী নিয়োগ করে অভিযোগ গঠনের শুনানি চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই মামলার অপর অভিযুক্ত, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন এবং তিনি ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ট্রাইব্যুনাল ১৬ জুন দুই অভিযুক্তকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়ে দুটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দেয়, যা ১৭ জুন প্রকাশিত হয়। তবে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তারা আত্মসমর্পণ না করায় মামলাটি অনুপস্থিতিতেও চলবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রসিকিউশনের আনুষ্ঠানিক অভিযোগে বলা হয়, ১৬ জুলাই থেকে ৫ আগস্টের মধ্যে সারা দেশে এক হাজারেরও বেশি ছাত্র ও সাধারণ মানুষ হত্যার দায় শেখ হাসিনার ওপর বর্তায়। তার নির্দেশ, প্ররোচনা ও উসকানিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলো এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল। অভিযোগে আরও বলা হয়, আন্দোলন দমনে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের নির্দেশও তিনিই দিয়েছিলেন।
এই মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ১ জুন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আমলে নেয়। সেদিনই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয় আসাদুজ্জামান খান কামাল ও চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে। মামলার বিচারিক কার্যক্রম সেদিন বিটিভিতে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছিল।
১২৪ বার পড়া হয়েছে