যুদ্ধ থামাতে ইরানকে বার্তা ইসরাইলের

ইসরাইলি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধের শর্তে হামলা বন্ধ করতে রাজি। চ্যানেল ১২-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইল বিশ্বাস করে, তারা আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’-এ সামরিক লক্ষ্যে পৌঁছাবে। ইসরাইলি কর্মকর্তা টাইমস অব ইসরাইলকে বলেন, ‘‘এটি ইরানের উপর নির্ভর করে, আমাদের উপর নয়।
আমরা এখনই অভিযান শেষ করতে পেরে খুশি; যদি শেষে কোনো চুক্তি হয়, ইসরাইল ফলাফলে সন্তুষ্ট থাকবে।’’

ওয়াল্লা এবং ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, অভিযান বন্ধ করার জন্য দুটি বিকল্প রয়েছে: ইসরাইল একতরফাভাবে ঘোষণা করতে পারে তারা তাদের লক্ষ্য অর্জন করেছে এবং ইরানও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা বন্ধ করবে; অথবা যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করবে উভয় পক্ষ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে—তবে ইসরাইল দ্বিতীয় বিকল্পটি কম পছন্দ করে।

২৩ জুন, সন্ধ্যা ও রাতে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জানান, ইসরাইল ইরানে তার লক্ষ্য অর্জনের খুব কাছাকাছি পৌঁছে গেছে এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি ও পারমাণবিক স্থাপনা উভয়েরই উল্লেখযোগ্য ক্ষতি করেছে। তিনি বলেন, ‘‘আমরা ইরানের পারমাণবিক হুমকি ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রোগ্রামকে নির্মূল করতে অভিযান চালিয়েছি। এ অভিযান খুব শিগগিরই শেষ হবে। আমরা লক্ষ্য অর্জন করলেই যুদ্ধ থামিয়ে দেবো।’’

ইরানের পক্ষ থেকে এখনও পাল্টা হামলা অব্যাহত রয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মার্কিন হামলার জবাব দেওয়া জরুরি এবং ইসরাইলের আগ্রাসন চলমান থাকলে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি নয়। তবে, ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বরাতে জানা যায়, ইরানও শান্তি আলোচনায় ফিরতে আগ্রহী, তবে শর্ত দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেন ইসরাইলের পক্ষে হামলা না করে।

ইসরাইল-ইরান সংঘাতের ১০ম দিনে (২৩ জুন) ইসরাইলি সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ইরানের হামলায় ইসরাইলে ২৫ জন নিহত ও ১,২১৩ জন আহত হয়েছেন। ইসরাইলের বিমান হামলায় ইরানে নিহতের সংখ্যা আরও বেশি বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে জানা গেছে।