হরমুজ প্রণালীতে জিপিএস জ্যামিং: ইরানের কৌশল

সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫ ১০:৩১ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
১৫ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত হরমুজ প্রণালী ও পার্শ্ববর্তী আরব উপসাগরে প্রতিদিন গড়ে ৯৭০টি জাহাজ জিপিএস জ্যামিংয়ের শিকার হয়েছে।
১৭ জুন (মঙ্গলবার) এই জ্যামিংয়ের মাত্রা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়, যখন ১,১৫৫টি জাহাজের নেভিগেশন সিস্টেমে বিঘ্ন ঘটে।
জাহাজগুলোর স্বয়ংক্রিয় চিহ্নিতকরণ সিস্টেম (AIS) বিভ্রান্তিকর অবস্থান দেখাতে শুরু করে—কখনো ইরানের বন্দর, কখনো ওমানের মরুভূমি, আবার কখনো দুবাইয়ের আশপাশে। এই ইলেকট্রনিক হস্তক্ষেপের ফলে জাহাজ চলাচলে বিলম্ব, পথ পরিবর্তন এবং নিরাপত্তা ঝুঁকি বেড়েছে।
১৭ জুন, হরমুজ প্রণালীর দক্ষিণে দুটি ট্যাংকার—ভিএলসিসি ফ্রন্ট ঈগল এবং সুয়েজম্যাক্স আদালিন—সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। নেভিগেশনাল ত্রুটির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানানো হয়। দুর্ঘটনার আগে ফ্রন্ট ঈগল-এর অবস্থান ইরানের স্থলভাগে দেখাচ্ছিল, যা জিপিএস জ্যামিংয়ের ফলাফল বলে মনে করা হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ইরান অতীতে যেমন জিপিএস জ্যামিং ও স্পুফিং ব্যবহার করে জাহাজকে তাদের জলসীমায় টেনে নিয়ে গিয়েছিল এবং পরে আটক করেছিল, এবারও একই ধরনের কৌশল দেখা যাচ্ছে। সাম্প্রতিক ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের পর এই জ্যামিং নাটকীয়ভাবে বেড়েছে, এবং ইরানি সামরিক ও রাজনৈতিক নেতারা প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছেন হরমুজ প্রণালী বন্ধ বা বিঘ্নিত করার।
কিছু রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইরান এই জ্যামিং কৌশলকে ‘গ্রে-জোন’ প্রতিরোধ হিসেবে ব্যবহার করছে—অর্থাৎ সরাসরি সামরিক সংঘর্ষে না গিয়ে প্রযুক্তিগতভাবে প্রতিপক্ষকে চাপে রাখা।
১২৫ বার পড়া হয়েছে