ইরানে মার্কিন হামলা: কোনো সামরিক প্রতিরোধ দেখায়নি তেহরান

আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক ও সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, মার্কিন বাহিনী হামলা চালানোর সময় ইরানের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় হয়নি এবং কোনো পাল্টা ক্ষেপণাস্ত্র বা সামরিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

হামলার পর ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এটিকে আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছে। তারা জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেছে এবং ভবিষ্যতে জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, ইরান সরাসরি প্রতিরোধ না করে কৌশলগতভাবে পরোক্ষ প্রতিক্রিয়ার পথ বেছে নিতে পারে। অতীতে ইরান মধ্যপ্রাচ্যের মার্কিন ঘাঁটি ও মিত্রদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে কিংবা সাইবার আক্রমণ করেছে। তবে এবারের হামলার সময় ইরান কোনো সামরিক প্রতিরোধ দেখায়নি—এটি আন্তর্জাতিক মহলে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে।

ইরান দাবি করেছে, হামলার আগে পারমাণবিক স্থাপনাগুলো খালি করে নেওয়া হয়েছিল, ফলে বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি। তবে দেশটির সর্বোচ্চ নেতা হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, ইরান সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা করবে।

বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ইরান এই মুহূর্তে সরাসরি সামরিক প্রতিক্রিয়া না দেখালেও ভবিষ্যতে পাল্টা পদক্ষেপ নিতে পারে। আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।